জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরে পোস্ট অফিস ও ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা বয়স্ক নারী-পুরুষদের টার্গেট করে তাদের অর্থ কৌশলে চুরি অথবা ছিনিয়ে নিতো একটি চক্র। ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরির ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এই টাকা জেলার মধুখালী উপজেলার মো. হাতেম মোল্যা (৬০) নামে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের।
গত ৮ মে এই শিক্ষক ফরিদপুর পোষ্ট অফিস থেকে জমাকৃত ১০ লাখ টাকা তুলে নিজ বাড়ির উদ্দেশে লোকাল বাসে রওনা দেন। পথে দেখতে পান তার ব্যাগের চেইন খোলা এবং টাকা নেই। এরপর দ্রুত কোতয়ালী থানায় এসে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এস আই মাসুদ ফকির তদন্ত কাজ শুরু করেন। সহযোগীতা করেন এস আই মো. শামীম হাসান। পরে দুজন কর্মকর্তাই পোস্ট অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
সোমবার (২৩ মে) ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রেস বিফ্রিংয়েএ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা।
তিনি জানান, তদন্ত দল রোববার (২২ মে) রাতে সদর উপজেলার ডোমরাকান্দি গ্রামের জাহিদুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় জাহিদুল টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, তার বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে জাহিদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার অপর সহযোগী ফরিদপুর সদর উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আবুল হোসেনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার বাড়ি থেকে চুরির বাকি ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের চুরি যাওয়া ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় ৩ জন জড়িত ছিলেন। দুই জনকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্ত:জেলা চোর ও পকেটমার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন এ পেশার সাথে জড়িত। তারা বিশেষ করে সরকারি পোস্ট অফিস, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আসা বয়স্ক নারী ও পুরুষদের টার্গেট করে বিভিন্ন কায়দায় তাদের কাছ থেকে অর্থ ও মালামাল হাতিয়ে নিতো।
গত এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. হাতেম মোল্যা অবসরে যান। সারা জীবনের সঞ্চয়কৃত টাকা চুরি হয়ে যাওয়ায় তিনি একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন। চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করায় তার দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। তিনি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
প্রেস বিফ্রিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এম এ জলিল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মাসুদ ফকির ও এস আই মো. শামীম হাসান সহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।