জুমবাংলা ডেস্ক : এক মাস ধরে দামের অস্থিরতা চলার পর আমদানি করার খবরে স্বস্তি মিলেছে চালের বাজারে। ফলে সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ৪-৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারত থেকে চাল আমদানি করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলে স্বাভাবিকতা ফিরবে চালের বাজারে। কম দামে কিনতে পারবেন ভোক্তারা।
এখন বোরো ধানের ভরা মৌসুম। অণুকুল আবহাওয়া থাকায় এবার ফলনও হয়েছে বাম্পার। এই অবস্থায় ভোক্তাদের চালের দামে স্বস্তির থাকার কথা। কিন্তু চিত্র তার উল্টো। মিলাররা কারসাজি করে ধান কিনে মজুত করে চালের। এর ফলে তারা উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে যায়। আর এ কারণে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে চালের দাম। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না দামের ঊর্ধ্বগতি। গত ১ মাসে অন্তত কেজিতে ১০-১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় সব ধরনের চাল। ফলে অস্থিরতা দেখা দেই চালের বাজারে। অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ক্রেতারা।
এই অবস্থায় সরকার গতকাল ভোক্তাদের সুখবর দিতে এবং চালের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই খবরে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের চালের দাম।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শাহীনুর রেজা জানান, শুল্ক-মুক্তভাবে আমদানি করা হলে এর সুফল ভোক্তারা পাবে। কারণ, চালের দাম অনেক কমে আসবে। অসৎ মিল মালিকরা ধানের মজুত করে চাল উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এ কারণে বাজারে চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ফলে কেজিতে সব ধরনের চালের দাম ১০-১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।