ভারত নন-বাসমতী চাল রপ্তানিতে নতুন শর্ত আরোপ করেছে। এখন থেকে এ ধরনের চাল কেবল কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এপিডা) নিবন্ধন করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “নন-বাসমতী চালের রপ্তানি নীতিতে অতিরিক্ত শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে নন-বাসমতী চাল কেবল এপিডায় নিবন্ধনের পরই রপ্তানি করা যাবে।”
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক ভারত চলতি অর্থবছরের এপ্রিল-অগাস্ট সময়ে নন-বাসমতী চাল রপ্তানি থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। তবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ফসল ক্ষতির মধ্যেই এই নতুন শর্ত কার্যকর করা হলো।
এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে কতটা পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। একসময় বাংলাদেশ চাল আমদানিতে ভারতের ওপরই বেশি নির্ভরশীল ছিল। তবে বর্তমানে অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি করা হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৩ লাখ টন চাল আমদানি করেছে, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ভারত থেকে এসেছে প্রায় ৮ লাখ টন চাল, যা ভারতের মোট নন-বাসমতী চাল রপ্তানির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৬ দশমিক ২ লাখ টন চাল আমদানি করেছিল, যা সে বছরের মোট রপ্তানির ১০ শতাংশ। এবার অতি বৃষ্টির শঙ্কায় সরকার আগেভাগেই আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৭ আগস্ট প্রায় ৯ লাখ টন চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। ওই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বাজারে স্বর্ণা, মিনিকেট ও সোনামাসুরির মতো চালের দাম ৮ থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে দেশটির গণমাধ্যমে জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।