জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল মাদ্রাসায় চাকরি করবেন, পরিবার নিয়ে সুন্দরমতো জীবনযাপন করবেন। এক সময় চাকরিও পেলেন; কিন্তু চাকরি স্থায়ীকরণ ও এমপিওভুক্তি করাতে গিয়ে এক ‘প্রতারকের’ খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হন। সংসার চালাতে এখন তিনি ঢাকার রাজপথে রিকশা চালাচ্ছেন!
এই শিক্ষকের নাম অহিদুজ্জামান। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর একে দারুস-সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় সুপার।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদ্রাসার সুপার অহিদুজ্জামানসহ ১৭ জন শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণ ও মাদ্রাসার এমপিও করাতে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা দেন উপজেলার ইকামাতেদ্বীন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধাকে। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক অহিদুজ্জামান ইউসুফ মৃধার বিরুদ্ধে ফরিদপুর ও ঢাকায় মামলা করেন।
এদিকে এমপিও না হওয়ায় সহকর্মীদের চাপে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধার রোষানলে পড়েন অহিদুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে পাঁচটি মিথ্যা মামলা করেন ইউসুফ মৃধা।
এসব মামলা চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন মাদ্রাসা সুপার অহিদুজ্জামান। সংসার ও ঢাকায় এসে মামলা পরিচালনা করার অর্থ জোগাতে রিকশা চালাতে শুরু করেন।
অহিদুজ্জামান বলেন, মামলা চালাতে অনেক টাকা লাগে। এজন্য রিকশা চালানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প কাজ খুঁজে পাইনি। এ আয় দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণও চলে।
একে দারুস-সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলমগীর মিয়া বলেন, মাদ্রাসার এমপিওর জন্য অনেক টাকা নিয়েছেন ইউসুফ মৃধা। অনেকের এমপিও হয়েছে, অনেকের হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে তিনি মামলার হুমকি দেন।
একে দারুস-সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার জন্য জমি দিয়েছেন শাজাহান মিয়া। তিনি বলেন, সুপারসহ শিক্ষক সুলতান মিয়া ও তাসলিমা আক্তারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের এমপিও করেননি ইউসুফ মৃধা। তাদের মূল সার্টিফিকেট আটকে রেখেছেন তিনি। এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকামাতেদ্বীন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউসুফ মৃধা বলেন, এসব বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। এর আগে কিছুই বলতে পারব না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।