জুমবাংলা ডেস্ক : একসঙ্গেই গিয়েছিলেন ঘুরতে। তিনি জীবিত ফিরলেও ফিরতে পারেননি ১১ জন। কিন্তু তানভীর হাসান হৃদয় এখনো জানে না তাঁর সেই বন্ধু
ও শিক্ষকদের অন্তিম পরিণতির কথা। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা তানভীর হাসান হৃদয়ের সঙ্গে কথা হয়।
তানভীর হাসান হৃদয় হাটহাজারী থানার আমান বাজার শিকারপুর এলাকার প্রবাসী আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি হাটহাজারীর কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজেের এইচএসসি শিক্ষার্থী।
তানভীর হাসান হৃদয় বলেন, আমাদের মাইক্রোবাসে চালক ও সহকারীসহ ১৮ জন ছিলাম। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমাদের সঙ্গে ৪ জন শিক্ষক, বন্ধু ও কয়েকজন ছোটভাই ছিল। শিক্ষক ও বন্ধুদের কী হয়েছে এখনও জানতে পারিনি।
তিনি বলেন, ঝরনা দেখে ফেরার পথে আমাদের মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় সময় আমি ঘুমে ছিলাম। বিকট আওয়াজে আমার ঘুম ভাঙে। এরপর ভেতর থেকে কিভাবে বের হয়েছি তা জানি না।
তানভীর হাসান হৃদয়ের মা লাকি আক্তার বলেন, আমার হৃদয় আল্লাহর রহমতে মোটামুটি এখন ঠিক। চিকিৎসক বলেছেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজারো শুকরিয়া, ছেলেকে আহত অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।