বিনোদন ডেস্ক : সদ্য মুক্তি পেল ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’। এই ছবি দেখে নিশ্চিন্তে বলা যায়, সমান্তরাল দুনিয়াকে ঘিরে বেশ যত্ন করে একটা চিত্রনাট্য সাজানোর চেষ্টা করেছেন। ধ্রুব আর রিমি এই দুই চরিত্রকে ঘিরে গল্প আবর্তিত হয়েছে। চারটে চ্যাপ্টারে ভাগ করা ছবিটা। পরিচালকের পেন্টিং নিয়ে আগ্রহ আছে বোঝা যায়। যামিনী রায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় আর বিকাশ ভট্টাচার্যর আঁকার সঙ্গে ধ্রুব আর রিমির জীবনকে যেভাবে মিলিয়েছেন পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী, তা তারিফ করার মতো।
ছবির ভাবনা ইন্টারেস্টিং। জন্মের পর থেকে প্রতিটা মানুষকে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এক-একরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে এক-একরকম পদক্ষেপ করে সে। কোন পরিস্থিতিতে কেমন পদক্ষেপ হতে পারে, সেই সমান্তরাল দুনিয়ার গল্প এই ছবিতে ধরা আছে। এই প্রচেষ্টার মধ্যেই পরিচালকের সমাজভাবনার চিত্রটিও স্পষ্ট হয়। যেসব দিকে আঙুল তুলেছেন পরিচালক, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সেসব নিয়ে মাথা খাটানোর প্রয়োজন আছে বলে, ছবিটাকেও বাতিলের দলে দেওয়া সম্ভব নয়।
ঋষভ বসু ছবির প্রধান মুখ। তাঁকে ঘিরে বেশ কিছু দুঁদে অভিনেতা রয়েছেন। ঋষভ ছবির প্রধান মুখ হিসাবে যেসব কাজ করেছেন, তার মধ্যে এই ছবিটার প্রভাব দর্শক মনে সবচেয়ে বেশি হতে পারে। ঋষভের পাশাপাশি ঋত্বিকা পাল নজর কেড়ে নিলেন। ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা নজরে আসছে। বাণিজ্য সফল হবে কিনা এই ছবি, তা সময় বলবে। তবে এমন একটা ছবি তৈরির প্রয়াস প্রশংসা পেতেই পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।