বিনোদন ডেস্ক : বাংলা সিনেমায় প্রথম সারির নায়িকার মধ্যে এখনো ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাম একেবারে নক্ষত্রের মতন জ্বলজ্বল করে। অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন প্রভাত রায়ের ‘শ্বেত পাথরের থালা’য় বন্দনার পুত্রবধূর তিতলির চরিত্রে। ছোট চরিত্র হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। পরবর্তীকালে প্রসেনজিৎ দেবশ্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের পরে এই সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছিল প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা জুটি। তারপরে শুরু হলো মেইনস্ট্রিম ছবির এক ঐতিহাসিক পর্যায় ‘সুজন সখী’, ‘মিস মৈত্রেয়ী’, ‘মনের মানুষ’, ‘বাবা কেন চাকর’ একটার পর একটা সিনেমা হিট করতে থাকলো।
তবে শুধুমাত্র মেইনস্ট্রীম ছবিতেই যে তিনি তার প্রতিভা দেখিয়েছেন এমনটা কিন্তু নয়, পরবর্তীকালে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি করার ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমাতেও তিনি তার। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা অবলম্বনে ‘দহন’ সিনেমাটিতে ঋতুপর্ণার অভিনয় সবাইকে থমকে দিয়েছিল। বাবা কেন চাকরির ঋতুপর্ণার সঙ্গে এই কালশিটে পড়া, ঠোঁটকাটা, অত্যাচারিত গৃহবধুর চরিত্রে অভিনয় করা ঋতুপর্ণাকে মেলাতে পারেননি গোটা বাঙালি সমাজ।
পরে ‘রাজকাহিনি’র বেগমজান এ ঋতুপর্ণা যেন এই ছবির মধ্যমনি। এই চরিত্র করতে ঋতুপর্ণা নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। অভাবনীয় পুরুষালি কণ্ঠস্বরে তাক লাগিয়ে দেন অভিনেত্রী। বর্তমানেও এমন অনেক চলচ্চিত্র আছে, যেখানে এমন এমন চরিত্র আছে, সেখানে ঋতুপর্ণা ছাড়া আমরা ভাবতেই পারি না। কখনো প্রাক্তনের সুদীপা, কখনো আবার শাশুড়ি বৌমার দ্বন্দ্ব মেটাতে মনোবিদ আরাত্রিকা।
আবারো তিনি কালো শাড়িতে ধরা দিয়েছেন, কালো এই সুন্দর কটকির শাড়িতে তাকে ভীষণ সুন্দর লাগছে। ব্লাউজের ফাঁকে সামান্য হলেও উঁকি দিচ্ছে গোপনাঙ্গ (ক্লিভেজ)। সবচেয়ে সুন্দর লাগছে তার কানের দুল সহ পাশা পরেছেন, পুরো কানের মধ্যে একটা ময়ূর যেন তার পালককে ছড়িয়ে রয়েছে এবং সাথে ঝুলছে একটা অসাধারণ কানের দুলটি। তিনি কালো রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে পরেছেন, এটি একেবারে সিলভার কালারের। তাইতো এত সুন্দর দেখতে লাগছে তাকে। ছবিটি দেখা মাত্রই সকলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন, এই বয়সেও তিনি যে কি করে এতটা সুন্দরী সেটাইতো ব্যাপার। কপালে পরেছেন বড় একটা কালো টিপ আর হাতে পরেছেন একটা সিলভার ব্রেসলেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।