আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে পবিত্র কাবা ঘরের মতো দেখতে একটি প্রদর্শন করা হয়। ওই মঞ্চে শিল্পীরা নাচ গান করছিলেন। এরকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের ঝড় বইছে নেটদুনিয়ায়।
পবিত্র কাবা মুসলিমদের জন্য ইবাদতের কেন্দ্রস্থল এবং ইসলামের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান। তাই এই কালো ঘরের রেপ্লিকার সামনে নৃত্য এবং গান পরিবেশন মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে প্রচন্ড আঘাত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোতে ব্যবহারকারীরা এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। অনেকেই এই ঘটনাকে “ইসলামের প্রতি অবমাননাকর” বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন, সৌদি আরবের মতো একটি ইসলামী রাষ্ট্রে এ ধরনের কার্যক্রম অনৈতিক এবং অগ্রহণযোগ্য।
জানা যায়, সৌদি আরবে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া রিয়াদ এন্টারটেইনমেন্ট সিজন বিশ্বব্যাপী বিনোদন-প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। তবে এবারের ইভেন্টে বিশাল কালো ঘরের সামনে নৃত্যশিল্পী, গায়ক এবং মডেলদের পারফর্ম করতে দেখা যায়। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কাছে এই ঘরটির নকশা ও স্থাপন পবিত্র কাবাকে বিদ্রূপ করার মতো মনে হয়েছে।
রিয়াদ এন্টারটেইনমেন্ট সিজনের আয়োজকদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে তাঁদের দাবি, ইভেন্টটি সৌদি আরবের সংস্কৃতি এবং আধুনিকায়নের প্রতি বিশ্বব্যাপী আগ্রহ সৃষ্টি করতেই আয়োজন করা হয়েছে।
সৌদি আরবের সাম্প্রতিক আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া এবং ভিশন ২০৩০ এর আওতায় বেশ কিছু সংস্কৃতি ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এগুলো অনেক সময় স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ধর্মীয় বিতর্ক সৃষ্টি করছে।
ফেসবুকে মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ আল জিহাদ লিখেছেন, নাচ গানের মঞ্চে কাবা শরীফের রেপ্লিকা বানিয়ে কাবা ঘরেরে সাথে সৌদি মুনাফিকরা যে বেয়াদবী করেছে কোন বিধর্মীও এমন সাহস করে নাই। এখন পর্যন্ত ঘোমটাওয়ালা কোন শায়খকে এর প্রতিবাদে এক লাইন লিখতে বা বলতে দেখলাম না। সৌদি সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ কি শুধু আশআরী মাতুরিদী আর সূফীদের মুশরিক বানানোর দায়িত্বের জন্য বেতন নিয়ে থাকেন?
আল আমীন লিখেছেন, আল্লাহ যারা এই কাজ করেছে ওই জালেমদেরকে তুমি এই দুনিয়াতে বিচার করে আমাদেরকে দেখিয়ে দাও আমিন।
এদিকে, এই বিতর্কের মুখে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতীকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। গতকাল রোববার এক নির্দেশনায় সরকার বলেছে, ‘জাতীয়, ধর্মীয় ও পবিত্র প্রতীক যে কোনো ধরনের প্রচার প্রচারণা এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক বিষয়াবলীতে ব্যবহার করা যাবে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।