কোনটিতে বেশি ক্ষতি হয় বাইকের? বাম্পার নাকি রাস্তার গর্ত

বাইক

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : রাস্তার গর্ত বা বাম্পার পেলে সাবধানে চালাতে হয় বাইক। এই গর্ত যেমন ক্ষতি করে বাইকের তেমনই বিরূপ প্রভাব ফেলে বাম্পারও। কী কী ক্ষতি হয় এবং কী সতর্কতা মেনে চলা উচিত?

বাইক

মোটরসাইকেল বা স্কুটার চালানোর সময় রাস্তায় যদি একগাদা গর্ত পান তাহলে সেই রাস্তায় দু চাকা চালানোর ইচ্ছাটাই চলে যায়। তার উপর হঠাত করে যদি বাম্পারের সঙ্গে দেখা হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। এই সমস্ত গর্ত বা বাম্পারের ফলে আপনার না যতটা সমস্যা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যথা পায় আপনার টু হুইলার।

অনেকেই মনে করেন রাস্তার বাম্পার নিরাপদ রাখে। গতি কমানোর জন্য বসানো হয় এই বাম্পার। স্পিড ব্রেকার হিসাবে কাজ করে বাম্পারগুলি। কিন্তু ক্রমাগত বাম্পার ট্যাকেল করার ফলে যে সব ক্ষতি হয় বাইকে তা অধিকাংশ মানুষই এড়িয়ে যান।

এই ধাক্কা সহ্য করতেই বাইকে দেওয়া হয় সাসপেনশন। যাতে চালক বাইকের নিয়ন্ত্রণ না হারাতে পারে। তাছাড়া বর্তমান মোটরসাইকেল বা স্কুটারগুলি এমন ভাবেই তৈরি করা হয় যে যে কোনও গর্ত বা বাম্পার সহ্য করতে পারে।

বাইক বা স্কুটার যখন কোনও গর্তে পড়ে তখন চাকাগুলির সঙ্গে প্রথম সংস্পর্শ হয়। এতে টায়ারগুলি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্তে চাকা পড়ার পরই সাসপেনশন সেই আঘাত শোষণ করে নেয় এবং কিছুটা প্রসারিত হওয়া সুযোগ পায়। গোটা বিষয়টি নির্ভর করে আপনার বাইকের দৈর্ঘ্য এবং গতি কেমন।

গর্ত থেকেও অনেক সময় বেশি প্রভাব ফেলে বাইকে। রাস্তার মাঝে হঠাত করে বাম্পার এলে তা কী কী ক্ষতি ডেকে আনে জানেন? বিশেষজ্ঞদের মতে ক্রমাগত এই আঘাত বাইকের সাসপেনশন এবং স্টিয়ারিং-এর উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। তবে অনেকেই মনে করেন, বাম্পারের থেকেও বেশি ক্ষতিকর রাস্তার গর্ত।

বাম্পার যেমন দূর থেকেও দেখা যায় এবং সেই মতো সাবধানতা অবলম্বন করা যায়। কিন্তু আচমকা গর্তের জন্য প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় থাকে না। তাই এ ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেন অভিজ্ঞ বাইকাররা।

এই টিপসগুলি হল –

* সামনে থাকা ট্রাক বা গাড়ি খুব কাছ থেকে অনুসরণ করা উচিত নয়। কারণ এ ক্ষেত্রে বাম্পার বা গর্ত এড়িয়ে যাওয়া জন্য সময় কম পাওয়া যায়।

* যে সব রাস্তা অব এলাকায় বাম্পারের সংখ্যা বেশি সেখানে রাস্তার মাঝখান দিয়ে বাইক না চালিয়ে রাস্তার ধার দিয়ে চালানো উচিত বলে মনে করেন অনেকে।

ই-স্কুটারকে টেক্কা দিতে আসলো পানির দামে দুর্ধর্ষ ই-সাইকেল

* এই সময় বাইক বা স্কুটির গতি কম রাখা উচিত। পাশাপাশি বাম্পার এলে সামনের দিকে একটু ঝুঁকে যেতে পারেন যাতে আপনার ওজন ফ্রন্ট হুইলের উপর পড়ে।

* রাস্তার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে আপনি আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাতে পারেন।