মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা-রামকৃষ্ণপুর সড়ক সংস্কারে মানহীন খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যবহৃত মানহীন খোয়া পরিবর্তন করে ঠিকাদারকে ভালো খোয়া ব্যবহারের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাসউদুর রহমান। তবে এ নির্দেশনাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না ঠিকাদার মীর মানিকুজ্জামান মানিক। তিনি ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
হরিরামপুর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্র জানায়, ২ হাজার ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ঝিটকা-রামকৃষ্ণপুর সড়কটি সংস্কারের কাজ পায় মীর কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে সড়কটি সংস্কারের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক কোটি ২৭ লাখ টাকায় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করার কথা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক খুড়ে বেড তৈরি করা হয়েছে। আর সেই বেডে ফেলা হয়েছে খোয়া। যেগুলো দেখতে পোড়া মাটির মতো। এসব খোয়ার উপর দিয়ে অটোবাইক কিংবা রিকশা চলাচল করাতেই সেগুলো ভেঙ্গে গুড়ি গুড়ি হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে মেশানো রয়েছে ঝামা। মানহীন খোয়াকে পিকেট বোঝাতেই ঝামাগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ইটভাটা থেকে ট্রলিতে করে খোয়াগুলো এনে ফেলা হয়েছে। এগুলোর মান একেবারেই খারাপ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে একমত সড়কটি সংস্কারে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাসউদুর রহমান। তিনি বলেন, খোয়াগুলোর মান ভালো না হওয়ায় আমি ঠিকাদারকে জানিয়েছি। তাকে বলেছি, এগুলো পরিবর্তন করতে হবে। ঠিকাদারকে মানহীন খোয়া পরিবর্তন করে ভালো খোয়া ব্যবহার করতে হোয়াটসএ্যাপে দেয়া মেসেজ দেখান এই প্রতিবেদককে।
মাসউদুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সাইট পরিদর্শন করেছেন। তিনিও মানহীন খোয়া পরিবর্তন করে ভালো খোয়া ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মীর কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ও ঘিওর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক বলেন, মানহীন খোয়া ব্যবহারের প্রশ্নই আসে না। আমি কী টাকা দিয়ে খারাপ খোয়া কিনবো বলে উল্টো প্রশ্ন করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।