আরএম সেলিম শাহী :শেরপুরের পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত রাস্তা-ঘাট, সেতু কালভার্ট সংস্কারে ধীরগতি। সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের নেই তেমন উল্লেখযোগ্য কোন তৎপরতা। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতশত পথচারীদের। স্থানীয়বাসিন্দারা বিধ্বস্ত সড়ক, রাস্তা- ঘাট, সেতু কালভার্টের জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়িী উপজেলার ভোগাই,চেল্লাখালি, ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সড়ক,রাস্তা-ঘাট, সেতু- কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
এতে শেরপুর সদরসহ জেলার,ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদীও নকলা উপজেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্ভোগে পড়ে লাখো মানুষ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র হিসাব মতে শেরপুর জেলাসদরসহ ৫টি উপজেলায় ১২২ টি রাস্তার ৪০৯ কিলোমিটার বিধ্বস্ত হয়েছে। সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে ১৮ টি, কালভার্টের ক্ষতি হয়েছে ৫০টি।
এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১শ,দেড় কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলোর মধ্যে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধিত হয়। শেরপুরসদর, নকলা ও শ্রীবরদী কম কম ক্ষতি হয়েছে। শেরপুর জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের হিসাব মতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি ও বিভিন্ন স্থানে সেতুর দুপাশের মাটি সরে গেছে।
এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় মহারশি ও চেল্লাখালি নদীর ১১২০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। নদীর পাড় ভেঙে গেছে ১৫৪০ মিটার। এতে ক্ষতি সাধিত হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। আরো কয়েক দিন আগেই পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেছে। কিন্তু বিধ্বস্ত রাস্তা- ঘাট, সেতু কালভার্টের সংস্কারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরগুলোর তেমন কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। এ অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। শেরপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন পাহাড়ি ঢলের পানিতে ৬টি রাস্তার ১০ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ছোটখাটো ভাঙ্গার কাজগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে করে সড়ক যোগাযোগ চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাদবাকি রাস্তাগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো,নকীবুজ্জামান খান বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় মহারশি ও চেল্লাখালি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ১১২০ মিটার ও নদীর পাড় ভেঙে ১৫৪০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতি পরিমাণ ধরা হয় ১২ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এগোলো নকশা তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে বরাদ্দ পাওয়া গেলেই তা সংস্কার করা হবে। এলজিইডি’র শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজের রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সিনিয়র প্রকৌশলী জাহানারা বেগম বলেন ছোটখাটো ভাঙ্গা রাস্তা গুলো সংস্কার করে যাতায়াত ব্যবস্থার চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাকিগুলো বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে নিয়মমাফিক কাজ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।