বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রথমবারের মতো রোবটের সাহায্যে দু’টি শিশুর জন্ম হয়েছে, যা দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরাও। শুনেই চমকে উঠলেন তো? কীভাবে কোনও রোবটের পক্ষে শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব? রোবট যে কোনও একদিন মানুষের জায়গা ছিনিয়ে নেবে, তা অনেক আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। তবে সেই দিন যে এত শীঘ্র এগিয়ে আসবে, বিজ্ঞানীরা ছাড়া হয়তো কেউই বুঝতে পারেনি। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একের পর এক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর সেই সব পরিবর্তন তাক লাগিয়ে দিচ্ছে মানুষকে।
বিজ্ঞানীরাও প্রতিনিয়ত অবিশ্বাস্যকর সব আবিষ্কার করে চলেছে। এতদিন রেস্তরাঁ থেকে হাসপাতাল, স্কুল থেকে পার্লার- সবেতেই রোবটিক যন্ত্রের ব্যবহার নজর কেড়েছিল। কিন্তু এবার যা হল, তা হয়তো সৃষ্টির নিয়মকেও চ্যালেঞ্জ করবে। প্রথমবারের মতো রোবটের সাহায্যে দু’টি শিশুর জন্ম হয়েছে, যা দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরাও। শুনেই চমকে উঠলেন তো? কীভাবে কোনও রোবটের পক্ষে শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব? চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রোবোটিক সূঁচের সাহায্যে একটি মানুষের ডিম্বাণুতে শুক্রাণু প্রবেশ করানো হয়েছে, এরপর ভ্রূণটি ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। আর অবশেষে দু’টি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন প্রযুক্তির কারণে আইভিএফ-এর খরচও অনেকাংশে কমবে।
MIT টেকনোলজি রিভিউ অনুসারে, দু’টি মেয়ের জন্ম হয়েছে। বিজ্ঞানীদের একটি দল নিউ ইয়র্ক সিটির নিউ হোপ ফার্টিলিটি সেন্টারে মানুষের ডিম্বাণুতে শুক্রাণুকে প্রবেশ করাতে একটি রোবোটিক সূঁচের ব্যবহার করা হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায় দু’টি সুস্থ ভ্রূণ উৎপন্ন হয়, যা থেকে দু’টি মেয়ের জন্ম হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রথম ইনসেমিনেশন রোবট নিয়ে যে সব বিজ্ঞানীরা কাজ করছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন যিনি ফার্টিলিটির ওষুধ সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তিনি এই প্রক্রিয়া চলাকালীন ভিডিও গেমের রিমোটের ব্যবহার করেছিলেন, তাতে যে কোনও ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছিল। তাই সেটির অবদানও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনের তরফে জানা গিয়েছে, প্লে স্টেশনের রিমোট ব্যবহার করা হয়েছিল। সনি প্লেস্টেশন 5-এর কন্ট্রোলার থেকে রোবটিক সূঁচ সঠিক অবস্থানে রাখা হয়েছিল এবং ক্যামেরার সাহায্যে ডিম্বাণুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। তারপর সেই সূঁচ নিজে থেকেই এগিয়ে গিয়ে সেটির ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা ডিম্বাণুর ভেতরে সিঙ্গেল স্পার্ম সেল ছেড়ে দেন। তার তারপরেই জন্ম নেয় দুই শিশু কন্যা। ওভারচার লাইফ নামে একটি স্টার্টআপ এই রোবটিক সূঁচের আবিষ্কার করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।