জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমানে রড-সিমেন্ট শিল্প খাত কিছুটা সংকটে রয়েছে। নির্মাণশিল্পের এই খাতে ভরা মৌসুমেও ক্রেতাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সাড়া আসছে না, ফলে চাহিদা ও উৎপাদনের গ্রাফ দুটোই নিম্নমুখী। ব্যবসায়ীদের মতে, সরকারি-বেসরকারি বড় এবং মাঝারি নির্মাণ প্রকল্প বন্ধ থাকায়, নতুন প্রকল্প শুরু না হওয়ার কারণে এ খাতের অবস্থা সংকটমুখী।
বিএসআরএম রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী বলেন, “বর্তমানে রড বিক্রি পরিস্থিতি খুবই খারাপ। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু না হবে, ততদিন এই অবস্থা চলবে।”
ডায়মন্ড সিমেন্টের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম আলী বলেন, “সিমেন্ট বিক্রিতে প্রত্যাশিত সাড়া নেই। সরকারি-বেসরকারি নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্ট বিক্রি ব্যাপকভাবে কমেছে।”
নির্মাণশিল্পের ভরা মৌসুম হিসেবে বছরের প্রথম কোয়ার্টারকে ধরা হয়, এবং এই সময়ে সারা বছরের রড ও সিমেন্টের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ বিক্রি হয়। তবে এবারের মৌসুমে চাহিদার পতনের কারণে ব্যবসায়ীরা শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছেন, ফলে উৎপাদন কমেছে।
বিগত বছরগুলোতে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রড ও সিমেন্টের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে চলতি বছর রড বিক্রি হচ্ছে টনপ্রতি ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায়, যেখানে গত বছর এই দাম ছিল ১ লাখ ৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৭ হাজার টাকা। সিমেন্টের দামও বর্তমানে কমে গেছে। কোম্পানি অনুসারে, সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৭০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়, যেখানে গত বছর একই সময়ে দাম ছিল ৪৯০ থেকে ৫৩০ টাকা। উৎপাদন কমানোর কারণে প্রায় সব রড এবং সিমেন্ট কারখানা অর্ধেক উৎপাদন করছে।
ডিসেম্বরের শেষে কিছু বিক্রি শুরু হলেও, তা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ক্রমেই রড ও সিমেন্টের চাহিদা কমেছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকা, এবং নতুন বড় ও মাঝারি প্রকল্পে হাত না দেওয়া।
বর্তমানে দেশে প্রায় ২০০টি রড তৈরির কারখানা রয়েছে, এবং এই খাতে বিনিয়োগ ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দেশে সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রায় ৫০টি কারখানা রয়েছে, এবং এসব প্রতিষ্ঠান বছরে ৭ কোটি ৮০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদন করে।
Redmi Turbo 4 Pro 3C সার্টিফিকেশন সাইটে লিস্টেড, শীঘ্রই লঞ্চের সম্ভাবনা!
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকার নির্মাণসামগ্রীর পাইকার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ স্টিল করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী হাসান রুবেল বলেন, “বিক্রির পরিস্থিতি গত কয়েক মাসে নিম্নমুখী। সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায়, বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।