যখন আমাদের সূর্যের চেয়ে ২০ গুণ বেশি ভরের একটি নক্ষত্র মারা যায় তখন এটি সুপারনোভাতে বিস্ফোরিত হতে পারে। ওই সময় এটি মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ব্ল্যাক হোলের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে।
তখন ওই ব্ল্যাক হোল মহাকাশে গিয়ে আঘাত করতে পারে। এ ধরনের অসামঞ্জস্যতার কারণে এদের rogue black holes বলা হয়। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক জেসিকা লু মনে করেন যে, rogue black holes শব্দটি এক্ষেত্রে সঠিক নয়। তিনি ফ্রি ফ্লোটিং শব্দটিকে বেশি পছন্দ করেন।
তবে মহাকাশে এসব বৈশিষ্ট্যের ব্ল্যাক হোল খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। আসলে ফ্রি ফ্লোটিং ব্ল্যাক হোল শুধু থিওরি এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে এ বছরের শুরুর দিকে মহাকাশ গবেষকদের দুটি দল rogue black holes শনাক্ত করতে পেরেছে বলে দাবি করছে।
বিজ্ঞানীরা অক্টোবরে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। তখন তারা বুঝতে পারবেন যে, এটি একটি ব্ল্যাক হোল নাকি একটি নিউট্রন তারকা। বর্তমানে বিষয়টি একটি রহস্যের মতো মনে হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নয় যে, ব্ল্যাক হোলের জন্ম বা নক্ষত্রের মারা যাওয়ার সময় সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটে কিনা। মারা যাওয়ার পর নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য বোঝাটা বেশ জরুরী। ব্ল্যাক হোল আলো আটকে রাখতে পারে বিধায় মানুষের চোখে তা দেখা বেশ কঠিন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০১৯ সালে মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে ব্ল্যাক হোলের একটি চিত্র তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ব্ল্যাক হোলের শক্তিশালী মধ্যাকর্ষণ দ্বারা গ্যাস, ধূলিকণা, নক্ষত্র এবং অন্যান্য পদার্থের ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়ে থাকে।
ব্ল্যাক হোলের সাথে মহাকর্ষ বলের সংঘর্ষে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তাহলে rogue black holes শনাক্ত করা বেশ কঠিন। তবে একটি ঘূর্ণায়মান ব্ল্যাক হোল পৃথিবীর জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। সৌরজগতের পাশ দিয়ে black hole চলে গেলে তা বোঝাও বেশ কঠিন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।