স্পোর্টস ডেস্ক : বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার। এ জুটিকে অনায়াসে সফলতমও বলা চলে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে দুজনেরই সাফল্য আকাশচুম্বী। ব্যাট হাতে ক্রিকেট মাঠে রাজা কোহলি আর নিজের অভিনয় দিয়ে বলিউড মাতান আনুশকা। বাইশ গজের নায়ক কোহলির জীবনে একাধিক প্রেম এসেছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) ৩৪ বছরে পা দিয়েছেন কোহলি। জন্মদিন উপলক্ষে গোপন প্রেম ও সর্ম্পক সজাগ করে তোলা হচ্ছে আরেকবার।
ভারতীয় ক্রিকেটার কোহলির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন ২০০৭ সালের মিস ইন্ডিয়া সারা জেন ডায়াস, দক্ষিণী চিত্রনায়িকা তামান্না ভাটিয়া, মডেল সাঞ্জানা গালরানি, ব্রাজিলের অভিনেত্রী ইজাবেলা লেইতে, রোহিত শর্মার স্ত্রী ঋতিকা সাচদেব ও তামিল অভিনেত্রী সাক্ষী আগরওয়াল। তবে সবশেষ কোহলির প্রেমে জড়িয়ে জীবনে আগমন ঘটে আনুশকার।
বিরাট কোহলির প্রথমবার যার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ছড়ায়, তিনি ২০০৭ সালের মিস ইন্ডিয়া সারা জেন ডায়াস। মাস্কাটে জন্ম এই সুন্দরীর সঙ্গে বিরাটের প্রেম কাহিনি সে সময় খুব চর্চিত হয়েছিল। তবে এই সম্পর্ক টেকেনি। কোহলি যখন ক্রিকেট মাঠে ব্যস্ত, তখন হিন্দি ও তামিল ছবিতে কাজ করেছিলেন সারা। মূলত দু’জনের একজন আরেকজনকে সময় দিতে না পারার কারণেই এই ভাঙে তাদের সম্পর্ক। এই নিয়ে দু’জন কখনো মুখও খোলেননি।
এরপর দক্ষিণি চিত্রনায়িকা তামান্না ভাটিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। ২০১২ সালে এক বিজ্ঞাপনে দু’জনের দেখা হয়। এরপর থেকেই শুরু গুঞ্জনের। যদিও এই সম্পর্কের কথা কেউই কখনও স্বীকার করেননি। গুঞ্জনের প্রায় সাত বছর পর অবশ্য একটি অনুষ্ঠানে এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তামান্না। তিনি বলেছিলেন, শুটিংয়ের সময় আমাদের কিছু কথা হয়। এর পর বিরাটের সঙ্গে কখনও দেখাও হয়নি, কথাও হয়নি।
২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পর যখন আইপিএল খেলতে বিজয় মালিয়ার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুরে যোগ দিয়েছিলেন বিরাট, সে সময়ও তার প্রতি অনেক মডেলই আকৃষ্ট হয়েছিলেন বলে শোনা যায়।
বিজয় মাল্যর পার্টিতে অনেক মডেল, অভিনেত্রীদেরই আনাগোনা ছিল। আর সেখানে বিরাটের মতো কেউ থাকলে তার যে প্রেমে পড়বেন না তারা, তা তো হয় না! শোনা যায়, এ ভাবেই সাঞ্জানা গালরানির সঙ্গে নাকি মন দেওয়া-নেওয়া হয়েছিল কোহলির। দক্ষিণী ছবিতে কাজ করেছেন সাঞ্জানা। বিরাট ও সাঞ্জানার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা গিয়েছিল। যদিও কেউই এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। কোহলি তার ‘শুধু বন্ধু’ বলেই দাবি করেছিলেন সঞ্জনা।
এ পর্যন্ত কোহলির প্রেমের বিষয়ে গুঞ্জনই শোনা গেছে, যা কোহলি বা তার প্রেমিকাদের কেউই স্বীকার করেননি। ২০১২ সালে একটা প্রেম হয়েছিল, যা কোহলি প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছিলেন পরে।
ব্রাজিলের অভিনেত্রী ইজাবেল লেইতের প্রেমে মজেছিলেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল দু’জনের সম্পর্ক ছিল। যদিও সেই সম্পর্ক দু’বছরের বেশি টেকেনি। কোহলি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সম্পর্কে ছিলাম প্রায় দু’বছর। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে এই সম্পর্ক থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।’
তবে ইজাবেলের সঙ্গে যখন সম্পর্ক ছিল তার, তখনই নাকি আরও এক তরুণীতে মজেছিলেন কোহলি। তার নাম ঋতিকা সাচদেব। তিনি পেশায় ‘স্পোর্টস ট্যালেন্ট ম্যানেজার’। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ২০১৩ সালে বিরাটের হয়ে কাজ করেছিলেন ঋতিকা।
তখনই বিরাট ও ঋতিকার সম্পর্ক হয়, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। তখন দু’জনকে প্রায়শই এক সঙ্গে দেখা যেত। যদিও সেই গুঞ্জন নিয়ে কেউই কখনো মুখ খোলেননি। সেই ঋতিকার ২০১৫ সালে ক্রিকেটার রোহিত শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয়। কোহলি আর ঋতিকার মধ্যে এখন বেশ ভালো বন্ধুত্ব আছে। এছাড়াও তামিল অভিনেত্রী সাক্ষী আগরওয়ালের সঙ্গেও তার প্রেমের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল তার ক্যারিয়ারের শুরুতে।
সবশেষ কোহলির জীবনে আগমন ঘটে আনুশকার। মাঝে অবশ্য প্রেমে ভাটা পড়েছিল, তবে পরে সেই খারাপ সময়টা পেছনে ফেলে ঠিকই তার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। ২০১৭ সালে বিয়ের পর চলতি বছরের শুরুতে তাদের ঘর আলো করে আসে এক কন্যা সন্তান। স্ত্রী আনুশকা, কন্যা ভামিকাকে নিয়ে দিব্যি সুখেই এখন জীবন কেটে যাচ্ছে কোহলির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।