স্পোর্টস ডেস্ক : নিয়মিত বোলাররা থাকার পরও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একরকম বোলিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে ভারতীয় দল। যাদের বোলিং করতে দেখা যায় না, সেই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারাও বল করে উইকেট নিয়েছেন। পার্টটাইমারদের মধ্যে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব ও শুভমান গিলও। সেমিফাইনারের আগে সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
বিশ্বকাপে লিগপর্বের শেষ ম্যাচে ১৬০ রানের বড় ব্যবধানে জয়ের পর ভারতের অধিনায়ক বলেছেন, ‘৫ বোলার থাকায় এটা সব সময়ই আমাদের মনের মধ্যে ছিল। দলের মধ্যে এ রকম বিকল্প তৈরির প্রয়োজন আছে। এখন আমার মনে হয় সেই বিকল্পটা আমাদের হাতে। আমাদের হাতে ৯টি বিকল্প।’
পার্টটাইমাররা বল করেছেন ৮ ওভার। তার মধ্যে কোহলি ২০১৪ সালের পর প্রথম ওয়ানডে উইকেটের দেখা পেয়েছেন। রোহিত শর্মাও প্রথম ওয়ানডে উইকেট নিয়েছেন ২০১২ সালের পর। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণই ছিল সেমিফাইনালের আগে নিজেদের কিছু লক্ষ্য পূরণ।
রোহিতের কথায়, ‘এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা এমন একটা ম্যাচ ছিল যেখানে এসব বিষয় করার সুযোগ ছিল। দেখা গেছে যখন প্রয়োজন ছিল না পেসাররা ওয়াইড ওয়ার্কার দিয়েছে। কিন্তু আমরা দল হিসেবে বোলিং ইউনিট হিসেবে কিছু বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেছি। দেখার জন্য যে, তাতে আমরা কী অর্জন করতে পারি।’
ভারত টুর্নামেন্টে এসেছিল হার্দিক পান্ডিয়া ও শারদুল ঠাকুরের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে। যারা দলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বোলিং অপশন। কিন্তু পান্ডিয়ার ইনজুরি তার বিশ্বকাপ শেষ করে দিয়েছে। তাতে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে স্বাগতিকদের। অশ্বিন কিংবা ঠাকুরকে বাদ দিয়েই ৬ বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ও ৫ মূল বোলারকে দিয়ে দল সাজাতে হয়েছে। এ অবস্থায় নকআউটের আগে পার্টটাইমারদের উইকেট শিকারি বোলিং এবং মিডল অর্ডার জ্বলে ওঠায় এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে দলটির বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।