মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় তিন বছর পর ‘রইদ’ নামের নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন তিনি। এতে অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। তবে এই চরিত্রের রূপদান করা মোটেই সহজ ছিল না তার জন্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তুষি জানিয়েছেন, পর্দায় নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কতটা কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।

তুষি জানান, চরিত্রের প্রয়োজনে টানা ৬ মাস চুলে শ্যাম্পু, সাবান বা কোনো প্রসাধন ব্যবহার করেননি। এমনকি মেকআপ ছাড়া পুড়ে কালো হওয়ার জন্য গায়ে সরিষার তেল মেখে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছেন রোদে!
৬ মাস সাবান-শ্যাম্পু ছাড়া নিজের এই রূপান্তর প্রসঙ্গে তুষি বলেন, হাওয়ার চেয়ে ‘রইদ’ আমার জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আমি টানা ছয় মাস চুলে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা গায়ে সাবান ব্যবহার করিনি। শুধু পানি দিয়ে গোসল করতাম। কারণ সাবান দিলে স্কিন পরিষ্কার হয়ে যায়, কিন্তু আমি চাচ্ছিলাম আমার ত্বকের পোরসগুলো দেখা যাক, মুখে মেছতা বা দাগ ফুটে উঠুক।
চামড়া পোড়াতে সরিষার তেল মেকআপ দিয়ে কালো না হয়ে প্রাকৃতিকভাবে রোদে পোড়া ত্বক চেয়েছিলেন তুষি।
তিনি বলেন, আমি গায়ে সরিষার তেল মেখে রোদে বসে থাকতাম। কারণ তেল মেখে রোদে গেলে দ্রুত বার্ন হয়। আমি চেয়েছিলাম চামড়া পুড়ে কয়লা হয়ে যাক। মেকআপ দিয়ে কালো করলে বৃষ্টি বা ঘামে তা ধুয়ে আসল রং বেরিয়ে আসার ভয় ছিল। তাই আমি প্রাকৃতিকভাবেই ওই অঞ্চলের মানুষের মতো হতে চেয়েছিলাম, যাতে আমাকে শহুরে মনে না হয়।
তুষি বলেন, চরিত্রটির দাঁতে এক ধরনের টেক্সচার দরকার ছিল। এজন্য আমি পান খেতাম। কিন্তু সাধারণ পানের চুনে কাজ হচ্ছিল না বলে আমি পাথরের চুন খাওয়া শুরু করি, যা ওই এলাকার মানুষ খায়। এতে আমার মুখ ও জিহ্বা পুড়ে যেত, কথা ভারী হয়ে আসত। কিন্তু চরিত্রের জন্য সেই কষ্টটুকুও করেছি।
নামহীন চরিত্র ও লেবারের কাজ তুষি জানান, এই সিনেমায় তিনি এমন এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন যার কোনো নাম নেই। চরিত্রটি ধারণ করতে তিনি শুটিং স্পটে লেবারদের সঙ্গে মাটি কেটেছেন, টিলায় উঠেছেন এবং গাছ লাগিয়েছেন। এমনকি চরিত্রের পোশাকের জন্য ‘টুকের বাজার’ থেকে মানুষের ব্যবহৃত পুরোনো কাপড় কিনে পরেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



