মুফতী মাকসূদুল হক: রমজান আসার পূর্বে যে আমলগুলো আমাদের করতে হবে তা হলো- তাওবা ইস্তেগফার করে নিজেকে পবিত্র করে নেওয়া। কোনো অন্যায়কারী যদি মনে করেন যে, রমজান চলে এসেছে, আর আমার সব গোনাহ এমনিতে মাফ হয়ে যাবে। বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়; বরং আগে থেকেই তাওবা ইস্তেসফার করে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
এর পরের কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র রমজান মাস সম্পর্কে কুরআন-সুন্নায় যে ফজিলত মর্যাদা ও উপকারী উল্লেখ হয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া। রোজার প্রয়োজনীয় মাসাআলাগুলোও জেনে নেওয়া। রোজা রেখে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না তা জানা থাকলে সঠিকভাবে আমরা রোজা পালন করতে পারবো । রোজা শুরুর আগে রোজা পালনের একটা মানসিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা কর্তব্য। বিগত রমজানের যদি কোনো কাজা রোজা থেকে থাকে তাহলে রমজান মাস আসার আগেই সে কাজা রোজাগুলো আদায় করে নেওয়া জরুরি। রমজান মাস জুড়ে ২৪ ঘণ্টায় আমরা কখন কি আমল করবো তার একটা রুটিন তৈরি করাও জরুরি। কেননা আগাম রুটিন থাকলে রমজানে চরম ব্যস্ততার মাঝেও আমরা আমলগুলো যথা সময়ে আদায় করতে পারবো।
কম করে হলেও এ মাসে এক খতম কুরআন তেলাওয়াত করা সবার জন্য জরুরি। সাবান মাসের শেষে ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় চাঁদের অনুসন্ধান করা সুন্নাত। এ সুন্নাতটি যেন আমরা পুনর্জীবিত করি। এর মাধ্যমে মাহে রমজানের গুরুত্ব আমাদের অন্তরে আরও বেশি প্রগড় হবে। রোজা শুরু হওয়ার আগেই নিজে তারাবির প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং পরিবার পরিজনকে এ বিষয়ে সজাগ করা কর্তব্য। তারাবির নামাজ রমজানের গুরুত্বপূর্ণ আমল, এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। খতমে তারাবির আয়োজন করা সুন্নাত।
পবিত্র মাহে রমজান হচ্ছে দানের মাস। বুখারীর এক বর্ণনায় এসেছে- ‘রমজান মাসে যখন জিবরাঈল (আ.) নবীজীর কাছে নিয়মিত আসতে শুরু করতেন, তখন তাঁর দানশীলতা প্রবাহিত বায়ুর চেয়েও বেড়ে যেতো।’ এজন্য রমজান মাসে আমরা যাকাত ও দান-সাদকা কিভাবে কাদের দিবো তারও একটা পরিকল্পনা থাকা উচিত। আল্লাহ আমাদেরকে রমজানের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
লেখক: মুহাদ্দিস, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা গোপালগঞ্জ ও খতীব, উত্তর শাহজাহানপুর আমতলা জামে মসজিদ, ঢাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।