ধর্ম ডেস্ক : যুগে যুগে বিভিন্ন নবি-রাসূলদের যুগে রোজা ফরজ ছিল। উম্মতে মুহাম্মাদির ওপর এরই ধারাবাহিকতায় রোজা ফরজ করা হয়েছে। রোজা হলো নিয়তের সঙ্গে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন রোজা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সূরা আল বাকারা, আয়াত : ১৮৩)।
রোজা অবস্থায় বীর্যপাত তিনভাবে হতে পারে
১. স্বপ্নদোষের মাধ্যমে অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে। এতে রোজা ভাঙবে না।
২. হস্তমৈথুনের মাধ্যমে। এতে রোজা ভেঙে যাবে এবং পরবর্তীতে এই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। তবে সারাদিন রোজাদারদের মতো না খেয়েই থাকবে।
৩. স্ত্রী-সহবাসের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের রোজা ভেঙে যাবে এবং পরবর্তীতে কাজা আদায়ের পাশাপাশি এর কাফফারাও আবশ্যক হবে। একটি রোজার কাফফারা হলো লাগাতার ৬০ দিন রোজা রাখা।
সূত্র: সুনানুল কুবরা, বাইহাকি ৪/২৬৪; রদ্দুল মুহতার: ২/৩৯২
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।