ধর্ম ডেস্ক : রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হলো ইফতার। রোজাদারের জন্য ইফতার পরম আগ্রহের ও আনন্দের। এই সময় ইফতারসংক্রান্ত পাঁচটি সুন্নত আছে, যা আলোচনা করা হলো—
এক. সূর্যাস্তের পর ইফতারে দেরি না
করা : সূর্যাস্তের পর দেরি না করে ইফতার করা। সাহল বিন সাদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যত দিন মানুষ দেরি না করে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করবে, তত দিন তারা কল্যাণের ওপরে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯৫৭)
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আমার কাছে প্রিয় বান্দা হচ্ছে তারা, যারা দ্রুত ইফতার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭০০)
দুই. ইফতারের সময় দোয়া-ইস্তেগফার করা :
ইফতারের আগমুহূর্তে বেশি বেশি দোয়া, ইস্তেগফার করা। আব্দুল্লাহ ইবনে ইরশাদ করেছেন, ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (ইবনে মাজা, হাদিস : ১৭৭৩)
তিন. ইফতারের দোয়া : ইফতারের সময় হাদিসে এই দোয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়াবিকা আফতারতু।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)।
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিকের দ্বারাই ইফতার করেছি।
চার. ইফতারের পর দোয়া : ইফতারের পরে রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়তেন—‘যাহাবা আজ-যমাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।’
অর্থ : পিপাসা দূর হয়েছে, শিরা-উপশিরা সিক্ত হয়েছে। আর ইনশাল্লাহ রোজার সওয়াব লেখা হয়েছে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭)
পাঁচ. অন্যের ঘরে ইফতারের পর দোয়া : আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যের ঘরে ইফতার করার পর তাদের জন্য এভাবে দোয়া করতেন—‘আফতারা ইন্দাকুমুস সায়ীমুন, ওয়াকালা ত্বআমাকুমুল আবরার, ওয়া ছাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকা।’
অর্থ : তোমাদের নিকট যেন রোজাদাররা ইফতার করে, তোমাদের খাবার যেন পুণ্যবান লোকেরা খায় এবং ফেরেশতারা যেন তোমাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৫৪)
মুফতি আইয়ুব নাদীম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।