জুমবাংলা ডেস্ক : রোজার মধ্যে চালের দাম হুহু করে বাড়ছে। কুষ্টিয়ার চালের মোকামে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ফলে চাল কিনতে ভোক্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। মিলাররা বলছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দামও বাড়ছে। বড় ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার খাজানগর দেশের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম। এ মোকামে গত এক সপ্তাহে চালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ক্রেতারা জানান, সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল কেজি ৮১ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হতো, যা এখন বেড়ে ৮৬ থেকে ৯০ টাকায় পৌঁছেছে।
শুধু মিনিকেট নয়, কাজলতা, স্বর্ণা ২৮ সহ অন্যান্য চালের দামও বেড়েছে। ফলে চাল কিনতে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য তা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
এক ক্রেতা বলেন, “গত মাসে যে চালের দাম ছিল, এখন তার চেয়ে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেশি। সাধারণ মানুষের জন্য এটি খুব কষ্টের ব্যাপার। দুই বেলা ভাত খাওয়ার মতো পরিস্থিতিও এখন কঠিন হয়ে গেছে।”
দাম বৃদ্ধির পেছনে মিল মালিকদের কারসাজি বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, ব্র্যান্ডেড মিনিকেট চাল ৮২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, অন্যদিকে নন-ব্র্যান্ডেড মিনিকেট ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, “মিলগুলো যদি মনিটরিং করে, তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা দুই থেকে চার কুইন্টাল চাল কিনি, কিন্তু মিল মালিকরা বড় পরিমাণে চাল বিক্রি করে।”
মিলাররা অবশ্য দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ধানের সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, বাজারে ধানের সরবরাহ কম থাকায় চালের দাম বেড়েছে।
বড় ধান বাজারে না আসা পর্যন্ত চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। এ ছাড়া চালের মিলগুলোর উৎপাদনও প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। মিল মালিকদের মতে, বাজারে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ ধান পাওয়া যাচ্ছে, যা চালের দাম কমার সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের দ্রুত চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা এবং চালের সরবরাহ বাড়ানো গেলে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
জেলা প্রশাসন বলছে, বাজার মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা নিয়মিত তদারকি করছে। জেলা প্রশাসক জানান, “বাজার মনিটরিংয়ের জন্য আমাদের অসংখ্য চোখ রয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা বাজার তদারকি করছেন। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।”
ভোক্তারা আশা করছেন, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চালের দাম স্থিতিশীল হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।