Roku Streaming Stick আপনার সাধারণ টিভিকে স্মার্ট টিভিতে রূপান্তর করে। এটি Roku OS চালিত একটি ছোট ডিভাইস। আপনি সহজেই এটি টিভির HDMI পোর্টে লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ডিভাইসটি নেটফ্লিক্স, ডিজনি প্লাসের মতো অ্যাপস ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তবে কিছু বিষয় কেনার আগে জেনে রাখা জরুরি। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এই ৯টি তথ্য আপনাকে সাহায্য করবে।
Roku Stick ব্যবহারের পূর্বশর্ত
আপনার টিভিতে HDMI পোর্ট থাকতে হবে। Roku Stick সরাসরি এই পোর্টে লাগাতে হয়। এটি চালু রাখতে বিদ্যুতেরও প্রয়োজন। টিভির ইউএসবি পোর্ট থেকে এটি পাওয়ার পেতে পারেন।
পুরনো টিভিতে HDMI না থাকলে কনভার্টার লাগবে। Roku Stick-এর বক্সে প্রয়োজনীয় সবকিছুই দেওয়া থাকে। শুধু টিভির সাপোর্ট চেক করে নিলেই হয়।
কী কী বিনামূল্যে পাবেন?
Roku Channel অ্যাপে ৫০০টির বেশি লাইভ চ্যানেল বিনামূল্যে দেখতে পাবেন। এতে রয়েছে নিউজ, স্পোর্টস, মুভির মতো ক্যাটাগরি। ABC, Fubo Sports, ION-এর মতো জনপ্রিয় চ্যানেলও রয়েছে।
তবে নেটফ্লিক্স, হুলুর মতো সার্ভিস আলাদা সাবস্ক্রিপশন নেয়। Roku Stick শুধু এই অ্যাপস ইনস্টল করার সুযোগ দেয়। কিছু প্রিমিয়াম সার্ভিস Roku Channel-এর মাধ্যমেই নেওয়া যায়।
সঠিক মডেল বাছাই করুন
আপনার টিভি 4K সাপোর্ট করলে Roku Streaming Stick 4K কিনুন। HD টিভির জন্য Roku HD Stickই যথেষ্ট। টিভির সক্ষমতা বুঝে মডেল বাছাই করুন।
4K কনটেন্ট দেখতে টিভিতে HDCP 2.2 সাপোর্ট লাগবে। না হলে 1080p-তেই কনটেন্ট দেখতে হবে। টিভির ম্যানুয়াল চেক করে নিন।
স্টোরেজ সীমিত
Roku Stick-এর স্টোরেজ সীমিত থাকে। HD মডেলে 512MB RAM ও 4GB স্টোরেজ থাকে। বেশি অ্যাপ ইনস্টল করলে “Not enough memory” এরর দেখাতে পারে।
অনাবশ্যক অ্যাপ ডিলিট করে স্টোরেজ ফ্রি করুন। রিস্টার্ট দিলেও অনেকসময় সমস্যা সমাধান হয়। সর্বদা কিছু ফ্রি স্পেস রাখুন।
শুধু স্ট্রিমিংয়ের জন্য
Roku Stick শুধু স্ট্রিমিং করার জন্য ডিজাইন করা। এটি দিয়ে ফাইল ডাউনলোড বা সেভ করা যায় না। ব্রাউজার অ্যাপও খুব বেসিক ভার্সনে থাকে।
ডাউনলোডেড কনটেন্ট দেখতে Roku Ultra নিতে পারেন। এতে ইউএসবি পোর্ট থাকে। পেনড্রাইভ লাগিয়ে কনটেন্ট দেখতে পারবেন।
Roku Stick ছাড়াও মডেল
Roku Stick ছাড়াও Streambar, Ultra-র মতো মডেল আছে। Streambar-এ স্পিকার内置 থাকে। Ultra-তে ইথারনেট ও ইউএসবি পোর্ট থাকে।
Roku TV-তেও OS প্রি-ইনস্টল থাকে। নতুন টিভি কিনতে না চাইলে Stick-ই ভালো অপশন। দামও অনেক কম।
ইন্টারনেট স্পিড গুরুত্বপূর্ণ
Roku Stick Wi-Fi-র উপর নির্ভরশীল। HD কনটেন্টের জন্য 5-6 Mbps স্পিড চাই। 4K-র জন্য 25 Mbps বা তার বেশি স্পিড লাগে।
অস্ট্রল সংযোগ হলে বাফারিং হবে। রাউটার টিভির কাছাকাছি রাখুন। স্থির সংযোগ নিশ্চিত করুন।
থার্ড-পার্টি অ্যাপ সীমিত
Roku-তে থার্ড-পার্টি অ্যাপ ইনস্টল করা কঠিন। ডেভেলপার মোড আছে, কিন্তু সেটা জটিল। বেশিরভাগ ইউজারের জন্য উপযোগী না।
Android TV-র মতো অ্যাপ ফ্রিডম এখানে নেই। Roku Channel Store-এ প্রয়োজনীয় অ্যাপস পেয়ে যাবেন।
গোপনীয়তা ও বিজ্ঞাপন
Roku আপনার ডেটা সংগ্রহ করে। ব্যক্তিগতকৃত বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য এটি করা হয়। Limit Ad Tracking অপশন চালু করে ট্র্যাকিং কমাতে পারেন।
Do Not Sell My Data অপশনও চালু করতে পারেন। তবুও কিছু ডেটা সংগ্রহ হয়েই যায়। এটা মেনেই ব্যবহার করতে হবে।
Roku Streaming Stick কিনলে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। সঠিক মডেল বাছাই করুন। আপনার টিভি ও ইন্টারনেটের সাথে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করুন। তাহলে ভালো অভিজ্ঞতা পাবেন।
জেনে রাখুন-
Q1: Roku Stick কি বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায়?
হ্যাঁ, যায়। তবে কিছু চ্যানেল জিও-ব্লক করা থাকতে পারে। VPN ব্যবহার করা যেতে পারে।
Q2: Roku Stick-এর দাম কত?
মডেলভেদে দাম ভিন্ন। HD Stick-এর দাম ৩০-৪০ ডলার। 4K Stick ৫০ ডলারের কাছাকাছি।
Q3: Roku Stick নাকি Fire Stick কোনটা更好?
দুটোই ভালো। Roku ইন্টারফেস সহজ। Fire Stick বেশি অ্যাপ সাপোর্ট করে। পছন্দ আপনার।
Q4: Roku Stick বাংলা কনটেন্ট সাপোর্ট করে?
হ্যাঁ, Hoichoi, ZEE5-এর মতো বাংলা অ্যাপ available। সরাসরি ইনস্টল করা যায়।
Q5: Roku Stick সারাক্ষণ অনライン থাকতে হবে?
হ্যাঁ, স্ট্রিমিংয়ের জন্য ইন্টারনেট কানেকশন জরুরি। অফলাইনে কাজ করবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।