ধর্ম ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য বিশেষ অনুগ্রহ বরাদ্দ করেছেন। রমজানের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে দোয়া করলে তা অবশ্যই কবুল হয় বলে বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ সময়সমূহ
রাতের শেষ প্রহর
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতে দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন—কে আছো আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছো আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে দান করব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১৪৫)
বিশেষ করে রমজানের শেষ দশ রাত আরও বেশি বরকতময়। এই সময় লাইলাতুল কদরের সন্ধানে বেশি বেশি ইবাদত ও দোয়া করা উচিত।
সাহরির সময়সাহরির মুহূর্তে আল্লাহর রহমত বেশি থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “সাহরি করো, কারণ সাহরির মধ্যে বরকত আছে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯২৩)
ইফতারের সময়
ইফতার মুহূর্তে রোজাদারের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে—একটি হলো ইফতারের সময় এবং অপরটি হলো তার রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৫১)
জুমার দিন
জুমার দিনে বিশেষ এক সময় আছে, যখন দোয়া কবুল হয়। নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো বান্দা আল্লাহর কাছে যা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করবেন।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৩৫)
তারাবির নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াতের পর
রমজানে তারাবির নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াতের পর দোয়া করলে তা কবুল হয়। কারণ, আল্লাহ তাআলা কুরআনের মাধ্যমে মানুষের অন্তরকে নরম করেন এবং তাঁর রহমত বর্ষিত হয়।
রমজান দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ মাস। তাই এই মাসের বিশেষ মুহূর্তগুলো কাজে লাগিয়ে আল্লাহর কাছে নিজেদের চাওয়া-পাওয়া তুলে ধরা উচিত। ইবাদত, কুরআন তেলাওয়াত ও তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করাই হবে প্রকৃত সফলতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।