ধর্ম ডেস্ক : রোজার বহুবিধ উপকারিতা আছে। আত্মিক, নৈতিক ও শারীরিক উপকারিতার পাশাপাশি রোজার আছে অর্থনৈতিক গুরুত্ব। নিম্নে রোজার অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো—
আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ : সাওম তথা রোজা মানুষকে সঞ্চয় ও নির্ভুল আয়-ব্যয়ের একটি পদ্ধতি নির্দেশ করে, কেননা সাধারণত মানুষ যখন কম পরিমাণ খায় বা কম সময়ে আহার করে, তখন সে কম অর্থ ও শ্রম ব্যয় করে আর এটাই হলো অর্থনীতি ও আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণের আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া।
গরিব-দুঃখীদের দান-সদকা প্রদান : রোজার মাধ্যমে ধনী ব্যক্তিরা অসহায়-দুঃখীদের অনাহারে থাকার কষ্ট অনুভব করতে পারে। দীন-দুঃখীদের দুঃখ দেখে তারা আর্থিক সাহায্য দানে এগিয়ে আসে। এতে গরিব-দুঃখীদের আর্থিক সংকট অনেকাংশে লাঘব হয়।
অর্থের মজুদ রোধ : ইসলামে বেশি লাভের আশায় মজুদ করা নিষেধ। আর রোজার মাধ্যমে মানুষ নির্দিষ্ট হারে জাকাত/ফিতরা প্রদান করে আল্লাহর নির্দেশ পালন করে। এর ফলে ধনীরা অধিক পরিমাণে ধন-সম্পদ মজুদ রাখতে পারে না। এতে অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব দূর হয়ে যায়।
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ : মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে রোজার গুরুত্ব অত্যধিক। রমজান মাসে মানুষ অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি বেশি দান-খয়রাত করে। দান-খয়রাতের ফলে সমাজে ধনী ও গরিবের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হয়। এতে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
অর্থনৈতিক সংযমতা লাভ : রোজার মাধ্যমে একজন রোজাদার ব্যক্তি আর্থিক ক্ষেত্রে সংযমতা অবলম্বন করে। সারা দিন সব ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকায় প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হয়। এতে সাওম মানুষকে মিতব্যয়ী করে তোলে।
অর্থ তহবিল গঠন : রোজার অর্থনৈতিক গুরুত্ব হলো সাহেবে নিসাবের ফিতরা আদায়। রোজার মাসে ছোট-বড় প্রত্যেকের ওপর ফিতরা আদায় করা হয়। এই ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। সমাজে অভাবী শ্রেণির মানুষের মধ্যে এই ফিতরা বণ্টন করা হয়। এই ফিতরা আদায়ে পবিত্র আল-কোরআনের নির্দেশ অনুসরণ করা হয়। আবার ফিতরা একত্র করে অর্থ তহবিলও গঠন করা যায়।
ইফতার বাজার : দেশের অর্থনীতিতে ইফতার বাজারের ব্যাপক আধিপত্য দেখা যায়। গ্রাম থেকে শহর—প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় ইফতারের বাজার বসে। এতে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
ঈদ বাণিজ্য : মাহে রমজান শেষে আসে ঈদুল ফিতর। বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশেও ঈদ বাণিজ্যে লাখ কোটি টাকা হাতবদল হয়। এসব থেকে সুস্পষ্টভাবে রোজার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বোঝা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।