জুমবাংলা ডেস্ক : রঙিন কপি চাষে বর্তমানে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আর প্রচার প্রচারণার ফলে ভোক্তা ও বিক্রেতাদের মাঝে ক্রয়-বিক্রয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। কীটনাশক ছাড়াই চাষাবাদ করা হচ্ছে। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আশা ল্প্রা হচ্ছে আগামীতে এই সবজি চাষের পরিমাণ বাড়বে। প্রথমবারের মত নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে রঙিন বাঁধাকপি চাষ করছে। আকর্ষণীয় সবজিগুলোর মধ্যে রঙিন কপি নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় সবজি।
শীতকালের সবজিগুলোর মধ্যে বাঁধাকপি অন্যতম। এটি গাঢ় সবুজ, হালকা সবুজ, সাদা, লাল ও বেগুনীসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে । বাঁধাকপির ইংরেজি নাম কেবেজ এবং বৈজ্ঞানিক নাম ‘ব্রাসিকা ওলেরেসা’। সবুজ বাঁধাকপির তুলনায় এই কপি খেতেও স্বাদ বেশি। দেখতেও অনেক সুন্দর। তাই জমি থেকেই কপি বিক্রি হয়ে যায়। অল্প খরচে অনেক লাভবান হওয়া যাবে এই কপি চাষে। প্রথম বারের মত চাষ করেই ভালো ফলন, দামও বেশ ভালো পায়েছে চাষিরা। আবার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা আসেন চাষ দেখতে।
রঙিন কপি চাষি আবু বক্কর এবং পান্না বলেন, সবুজ জাতের বাঁধাকপির চেয়ে এই কপি চাষে তুলনামূলক অনেক কম পরিচর্যা করতে হয়। অন্যদিকে রোগবালাই তেমন নেই বললেই চলে। অনেক সুবিধা রয়েছে। অন্যান্য ফসলে যেমন প্রতিদিন পরিশ্রম করতে হয়, এই কপি চাষে তার প্রয়োজন হয় না। ফলে এটি চাষ অনেক সহজ। সবুজ জাতের বাঁধাকপিতে রোগবালাই বেশি। পচন খুবই কম ফলে সার কিটনাশকও লাগে কম। প্রথম বারের মত চাষ করেই ভালো ফলন, দামও বেশ ভালো পেয়েছি। আবার পানি সেচ একটু বেশি হলে পচন ধরে যায়। কিন্তু বেগুনি রঙের বাঁধাকপি চাষে এসব অসুবিধা নেই।
কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সব ধরনের রঙিন শাকসবজিতে সবুজগুলোর তুলনায় ভি’টামিন বেশি থাকে। এই কপিতে চর্বি নেই বললেই চলে। পাশাপাশি এই কপি ক্যা’নসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। ফলে এটি খাওয়া মান’বদেহের জন্য খুবই উপকারী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষণায় দেখা গেছে এই কপি ভিটা’মিন সি ও কে সমৃদ্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।