জুমবাংলা ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর চাড়োলের খোকো বাড়ি গ্রামে বাংলাদেশি এক মেয়েকে গত জুলাই মাসে বিয়ে করেছিলেন ইতালির নাগরিক আলী সান্দ্র্রো চিয়ারোমিন্ডে। বিয়ের কিছুদিন পর নবনিবাহিত স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিসা নিয়ে আসার কথা বলে ইতালি ফিরে যান আলী সান্দ্রো। কিন্তু সেখানে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ইতালির ওই নাগরিক।
এই চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অনেকে অনেকভাবে কথা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রত্নার পরিবার। কেউ বলছেন, রত্মাকে রেখে উধাও ইতালিয়ান যুবক, আর কেউ বলছেন অর্থের লোভে তার পরিবার এ বিয়ে দিয়েছেন। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চায় না রত্মা ও তার পরিবার।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খোকোপাড়া গ্রামের দিনমজুর মারকুস দাসের মেয়ে রত্না রানী দাস (১৯)। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ভালোবাসার টানে ইতালি থেকে বাংলাদেশে এসে সনাতন ধর্ম রীতি অনুযায়ী রত্নাকে বিয়ে করেন আলী সান্দ্রে চিয়ারো।
রত্নার বাবা মারকুস দাস জানান, আমার জামাই পালিয়ে যায়নি এবং অর্থের লোভে আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়নি। ভালবাসার টানে আলী সান্দ্রে চিয়ারোমিন্তে ইতালি থেকে এসে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর এক মাস জামাই আমাদের বাড়িতে ছিল। তারপর নিজ দেশে ফিরে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে তো বাংলাদেশে বিয়ে দেওয়া হয়নি যে, যখন তখন জামাইয়ের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। এটা বিদেশের ব্যাপার, সেখানে পাঠাতে হলে ভিসা, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ধরনের বিষয় আছে। যাওয়ার সময় জামাই আমাদের কাগজপত্র সব তৈরি করে দিয়েছেন। কিছু প্রয়োজনীয় কাজ আছে, যেগুলো শেষ হলে আমার মেয়ে খুব শিগগিরই জামাইয়ের কাছে যাবে।
এর বেশি কিছু বলতে পারব না আপনাদের কাছে, দয়া করে আপনারা আর ভুল তথ্য প্রচার করবেন না। তবে, আমার মেয়ে আজ হোক, কাল হোক, এক মাস পরে হোক বা এক বছর পরে হোক ইতালিতে যাবে এবং জামাই তাকে নিয়ে যাবেই।
রত্নার মা জানান, আমার মেয়ের জামাই একটা মাটির মানুষ, তার ব্যবহার খুব ভালো। সে ইতালি থেকে এসে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে এবং আমার ভাঙা ঘরে এক মাস ছিল। কোনদিন বলেনি যে খারাপ লাগছে। জামাই সব সময় হাসিখুশি থাকে, এতে আমার খুব ভালো লাগে। জামাই চলে যাওয়ার পর প্রতিদিন মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে, কথা বলে শ্বশুর-শাশুড়ির খোঁজ খবর নেয়। মোবাইলে খুব হাসি-ঠাট্টা ও গল্প করে।
ইতালির ভাষায় কথা বলে, মাঝে মাঝে বাংলা ভাষায়ও কথা বলে। দুই একটা শব্দ বাংলায় বলতে পারে। বলে ‘মা, মা বাবা ভালো’।
বালীয়ডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরাও সেই ইতালিয়ান যুবকের নামে নানা ধরনের কথা শুনেছি৷ সেই ছেলের বউ ও বাচ্চা আছে, এখান থেকে সে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়গুলো শোনার পর আমি মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জানিয়েছে জামাইয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। তারা চেষ্টা করছেন খুব দ্রুত মেয়েকে জামাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার। যেহেতু আমরা এখানে আছি, আর ছেলে ইতালিতে তাই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বুড়ি হয়ে যাচ্ছেন প্লাস্টিক বিউটি, ট্রলের শিকার ঐশ্বর্য রাই
আর মেয়েটির চাচা জোসেফ সেই যুবকের সঙ্গে ইতালিতে একসঙ্গে কাজ করেন। তিনি নিজে দেশে এসে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। একজন চাচা তার আপন ভাতিজিকে কখনো বিপদে ফেলবে না বলে আমরা মনে করছি। আরও কিছুদিন গেলে আসল বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।