বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ভারতের বিখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড ২৫০ সিসির নতুন হান্টার মডেল আনছে। এটি ২০২৫ এডিশন। যা সাশ্রয়ী মডেল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে।
২০২২ সালের আগস্টে প্রথম লঞ্চের পর থেকে এই মোটরসাইকেলটি তরুণ ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং এটি রয়েল এনফিল্ডের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মডেলগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
এই নতুন সংস্করণে কী কী পরিবর্তন থাকছে এবং কীভাবে এটি ক্রেতাদের আকর্ষণ করবে, তা নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই।
২০২৫ হান্টার ৩৫০: কী আশা করা যায়?
রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ তার কমপ্যাক্ট ডিজাইন, স্পোর্টি হ্যান্ডলিং এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ইতিমধ্যেই বাজারে একটি বিশেষ স্থান দখল করেছে। লঞ্চের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ৫ লক্ষেরও বেশি ইউনিট বিক্রি হয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তার প্রমাণ। এই মোটরসাইকেলটি ভারতে ২ লাখ রুপির নিচে রেট্রো স্টাইলের মোটরসাইকেলের বাজারে প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে। তবে, বর্তমান মডেলের একটি প্রধান সমস্যা ছিল এর পিছনের সাসপেনশন, যা ভাঙা রাস্তায় রাইডিংয়ের সময় অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
২০২৫ সংস্করণে এই সমস্যার সমাধান করতে রয়েল এনফিল্ড পেছনের সাসপেনশন সিস্টেম নতুন প্রবর্তন করছে। নতুন টুইন শক অ্যাবজর্বারে প্রোগ্রেসিভ স্প্রিংস ব্যবহার করা হয়েছে, যা দুইটি ভিন্ন স্প্রিং কোএফিসিয়েন্টসহ (K) রাইড কোয়ালিটি উন্নত করবে। এটি বিভিন্ন রাস্তার অবস্থা এবং লোডের জন্য দুই স্তরের ড্যাম্পিং প্রদান করবে, যা রাইডারদের আরও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেবে।
এছাড়া, নতুন হান্টার ৩৫০-এ অল-এলইডি হেডলাইট প্রবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বর্তমান হ্যালোজেন ইউনিটের তুলনায় উন্নত আলোকসজ্জা প্রদান করবে। এটি রাত্রিকালীন রাইডিংয়ের নিরাপত্তা এবং দৃশ্যমানতা বাড়াবে। নতুন রঙের বিকল্প এবং সম্ভবত টাইপ-সি ইউএসবি পোর্টের মতো আধুনিক ফিচারও যুক্ত হতে পারে। কিছু সূত্রের মতে, টপ-স্পেক ভেরিয়েন্টে হিমালয়ান ৪৫০-এর মতো টিএফটি ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোলও দেখা যেতে পারে, যা রাইডারদের জন্য তথ্য প্রদর্শনকে আরও সুবিধাজনক করবে।
স্পেসিফিকেশন: কী অপরিবর্তিত থাকছে?
ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। ২০২৫ হান্টার ৩৫০-এ একই ৩৪৯ সিসি, সিঙ্গল-সিলিন্ডার, এয়ার-অয়েল কুলড জে-সিরিজ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হবে, যা ৬,১০০ আরপিএম-এ ২০.১ বিএইচপি শক্তি এবং ৪,০০০ আরপিএম-এ ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এই ইঞ্জিনটি ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে যুক্ত, এবং কোম্পানির দাবি অনুযায়ী এটির সর্বোচ্চ গতি ১১৪ কিমি/ঘণ্টা। এই ইঞ্জিনটি শহরের ট্র্যাফিক এবং হাইওয়ে রাইডিংয়ের জন্য উপযুক্ত, যা নিম্ন এবং মাঝারি গতিতে টর্কি পারফরম্যান্স প্রদান করে।
হান্টার ৩৫০ টুইন ডাউনটিউব স্পাইন ফ্রেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা ১৩০ মিমি ট্র্যাভেল সহ ৪১ মিমি টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং ৬-স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল প্রিলোডসহ টুইন কয়েল রিয়ার সাসপেনশন দ্বারা সমর্থিত। ব্রেকিং সিস্টেমে সামনে ৩০০ মিমি ডিস্ক এবং পিছনে ২৭০ মিমি ডিস্ক রয়েছে, যা ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস দ্বারা সুরক্ষিত। এটি ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল এবং টিউবলেস টায়ারের সঙ্গে আসে, যার সিট উচ্চতা ৭৯০ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৫০.৫ মিমি। এই বৈশিষ্ট্যগুলি হান্টার ৩৫০-কে শহর এবং হাইওয়ে উভয় ক্ষেত্রেই চমৎকার হ্যান্ডলিং প্রদান করে।
মূল্য এবং প্রতিযোগিতা
বর্তমানে হান্টার ৩৫০-এর এক্স-শোরুম মূল্য ভারতে ১.৫০ লাখ রুপি থেকে ১.৭৫ লাখ রুপির মধ্যে। আপডেটেড মডেলের জন্য মূল্য ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ রুপি বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা এটিকে ১.৬০ লাখ থেকে ১.৭০ লাখ রুপির মধ্যে রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।