বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের বাজারে এসেছে নতুন এক কোম্পানির মোটরসাইকেল। যার নাম রয়েল এনফিল্ড। হায়ার সিসির বাইক নিয়ে এসেছে কোম্পানি। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইফাদ মটরস লিমিটেড এই মোটরসাইকেল উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এই মোটরবাইক নিয়ে তরুণদের মাঝে উন্মাদনার শেষ নেই। সেই সঙ্গে এই কোম্পানি নিয়ে রয়েছে কৌতুহলও। অনেকেই জানেন না রয়েল এনফিল্ড কোন দেশি কোম্পানি? কারা বানায় এই বাইক? বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।
রয়েল এনফিল্ড নামটির সঙ্গে যেন জড়িয়ে আছে রাজকীয়তা। ১৯৩১-এ পথ চলা শুরু ব্রিটিশ সংস্থা এনফিল্ডের। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এর রাজকীয়তায় কিন্তু এতটুকুও কমতি পড়েনি। কমেনি এর জনপ্রিয়তাও।
মোটরসাইকেল তৈরি করার আগে ঘাস কাটার যন্ত্র তৈরি করত ব্রিটিশ এনফিল্ড কোম্পানি। এছাড়া বন্দুকের ব্যবসাও ছিল তাদের।
রয়েল এনফিল্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল বুলেট ৩৫০। ১৯৩১ সালে প্রথম ব্রিটেনের বাজারে আসে। ভারতে বুলেট আসে ১৯৫১ সালে।
রয়েল এনফিল্ড ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাইক সরবরাহ করা শুরু করে ১৯৫৫ সালে। মাদ্রাজ মোটরস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধে এ দেশেই মোটরসাইকেল তৈরি শুরু করে সংস্থাটি।
১৯২৪ সালে রয়েল এনফিল্ড প্রথম সিঙ্গেল সিলিন্ডারের ফোর স্ট্রোক বাইক বুলেট ৩৫০ তৈরি করে। ভারতের ফোর স্ট্রোক বাইকের বাজারে এই বুলেটই প্রথম।
এনফিল্ডের জন্ম ব্রিটেনে হলেও ধীরে ধীরে সংস্থাটি দেউলিয়া হয়ে যায়। এবং শেষে ১৯৬৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এনফিল্ডের ভারতের শাখাটি তখনও বাইক তৈরি করছিল। আইনি লড়াইয়ের পর ১৯৯৯-তে ভারতের শাখাটি রয়েল এনফিল্ড ব্র্যান্ডেই গাড়ি তৈরি করতে থাকে।
ভারত এখন সারা বিশ্বে এনফিল্ডের বাইক রফতানি করে। এমনকি এর জন্মস্থান ব্রিটেনেও।
শুধু পেট্রোলচালিত নয়, ১৯৯৩-তে ডিজেলচালিত বাইকও বাজারে এনেছিল এনফিল্ড। নাম টরাস। ৩২৫ সিসির বাইক।
বুলেটের ট্যাঙ্কে সংস্থার যে নাম লেখা, তা হাতেই আকা। সবচেয়ে আশ্চর্যের যে বিষয়টি তা হল, ভারত যে দিন থেকে রয়েল এনফিল্ডকে নিয়েছে, সে দিন থেকেই একটিই পরিবার বাইকের ট্যাঙ্কের ওপর সংস্থার নামটি এঁকেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।