বিনোদন ডেস্ক : ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল দক্ষিণী ছবি ‘আরআরআর’। এসএস রাজামৌলি পরিচালিত এই ছবিতে এনটি রামরাও জুনিয়র, রাম চরণ ছাড়াও বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে আলিয়া ভট্ট, অজয় দেবগণের মতো নামী তারকাদের অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
‘বাহুবলী’, ‘কেজিএফ ২’-এর মতো ছবিকে বক্স অফিসে রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে ‘আরআরআর’। মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিস থেকে ১,১৪৪ কোটি টাকা উপার্জন করেছে এই ছবি। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও মুক্তি পেয়েছে ‘আরআরআর’।
বিপুল পরিমাণ দর্শক এখনও এই ছবির জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ। তবে, ‘আরআরআর’ মুক্তির এক মাস পরেই রাম চরণ অভিনীত আরও একটি ছবি ‘আচার্য’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।
রাম চরণ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে রাম চরণের বাবা চিরঞ্জীবীকেও। পূজা হেগরে, সোনু সুদ, যিশু সেনগুপ্তও ‘আচার্য’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
তবে, ‘আরআরআর’-এর মতো সাফল্য আনেনি ‘আচার্য’। বরং, বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে অ্যাকশন ঘরানার এই তেলুগু ছবি।
কোরাতালা সিভা পরিচালিত এই ছবিটি বানাতে মোট ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর ব্যবসা করেছে ১৫০ কোটি টাকা। সেই অনুযায়ী, বক্স অফিসে ‘আচার্য’র লোকসানের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা।
এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রযোজক নীরঞ্জন রেড্ডির কাছ থেকে ছবিটির স্বত্ব অধিগ্রহণ করার শর্ত ছিল ছবি ফ্লপ করলে টাকা ফেরত দিতে হবে। ‘আচার্য’ ফ্লপ করার ফলে চাপও বেড়েছে প্রযোজকের উপর।
তাঁদের দফতরের সামনে ধর্নাও দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। হায়দরাবাদের বিলাসবহুল এলাকায় একটি জমি কিনে রেখেছিলেন নীরঞ্জন। ক্ষতিপূরণ দিতে সেই জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তাঁর ধারণা, জমি বিক্রি করে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কোটি টাকা পাবেন তিনি। সেই টাকা দিয়েই তিনি ক্ষতিপূরণ দেবেন।
তবে, তাতেও পুরো টাকা শোধ করতে পারবেন না প্রযোজক। এই দুঃসময়ে নীরঞ্জনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বাবা ও ছেলের জুটি। চিরঞ্জীবী ও রাম চরণ দু’জনেই এই ক্ষতিপূরণের ভার কমাতে প্রযোজককে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
বক্স অফিসের ক্ষতিপূরণ মেটাতে দুই অভিনেতা মোট ২০ কোটি টাকা দেবেন প্রযোজককে। কিন্তু এই ঘটনায় চিরঞ্জীবী ও রাম চরণের অনুরাগীরা ভীষণ ক্ষুব্ধ।
অনেকের মতে, বিনিয়োগকারীরা জেনেবুঝেই টাকা দিয়েছিলেন। এ রকম কোনও শর্ত রাখা উচিত নয় যেখানে ছবি হিট না করলে সেই টাকা আবার ফেরত দিতে হবে। ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা বিনিয়োগ করেন।
তাঁরা জানান, প্রযোজক কাউকে এই বিষয়ে জোর করেননি। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছাতেই টাকা দিয়েছেন। প্রযোজকের উপর অযথা এই মানসিক ও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
এই গোলযোগের মাঝেই চিরঞ্জীবী তাঁর পরবর্তী ছবির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মালয়ালম ছবি ‘লুসিফার’-এর রিমেক এই ছবিতে চিরঞ্জীবী ছাড়াও অভিনয় করতে দেখা যাবে নয়নতারা, সলমন খান এবং সত্যদেবকে।
‘আচার্য’ ছবির পরিচালকও অন্য একটি ছবি করবেন বলে ভাবনাচিন্তা করছেন। ছবির নাম ঠিক না হলেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমাতে মুখ্য ভূমিকায় এনটিআর জুনিয়রকে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।