আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিনোদন মুক্তির ৩৬ দিনের মধ্যে তার সিনেমা ‘আরআরআর’ বা ট্রিপল আর ১১শ’ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে বিশ্বজুড়ে। এর আগে তিনি বাহুবলির মতো সিনেমা দিয়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন। ২০০১ সালে পরিচালক জীবনে পা রাখা এসএস রাজামৌলি এ পর্যন্ত ১২টি সিনেমা বানিয়েছেন।
যার সবকটিই হিট হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার ডায়রিতে ফ্লপ বলে কোনও শব্দ নেই। তার হাত ধরেই ভারতীয় সিনেমার গতিপথই অনেকটা পাল্টে গেছে। বলিউডের বাইরের নির্মাতারাও এখন শত শত কোটি বাজেটের সিনেমায় হাত লাগানোর সাহস দেখাচ্ছেন এবং সফলও হচ্ছেন। পুষ্পা থেকে কেজিএফ যার বড় উদাহরণও বটে।
কোন রহস্যে এমন সফলতা? কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্য আল জাজিরার এমন প্রশ্নের জবাবে রাজামৌলি জানিয়েছেন, ‘আমি কেবল বড় আবেগটাকেই জানি।’
তার সিনেমার সামনে বড় বড় বলিউড সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে। তারপরও রাজামৌলি কোনোভাবেই বলিউডের সাথে টেক্কা দিতে চান না। তার ভাষায়, ‘আমি আমাকে বলিউডের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই না।’ তিনি বলেছেন, কাজের নৈতিকতার মাঝেই তার সফলতা লুকিয়ে আছে। সাথে ধারাবাহিকতা, ভাবনার গভীরতার মাঝে বেড়ে ওঠা, ভুল থেকে শেখাই সাফল্য গড়ে দেয়।
রাজামৌলি বলেন, ‘এমনটা নয় যে গল্প বলায় আমার কোন বিশেষ দক্ষতা আছে, এটা নিশ্চিতভাবেই নেই।’ তার মতে বলিউড অতিমাত্রায় শহর কেন্দ্রিক হওয়ায় বেশি আয় করতে পারছে না। তারা (বলিউড) হিরোইজম, কাচা আবেগ ও অন্যান্য বিষয় থেকে সরে গেছে, যা আসলে বাণিজ্যিক সিনেমার মূল অনুসঙ্গ।’
রাজামৌলি আরও বলেন, ‘হিরো যখন হাঁটবে, তখন মাটি ভাগ হয়ে যাবে এবং আকাশে ঝরবে অগ্নিশিখা। মানুষ এমনটাই ভাবে।’ ‘তাই যখন গল্প বলি, এই ভাবনাকে আমি মোটেও ভিন্নতা দিতে চাই না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।