এ মাসের ১২ তারিখে এনভিডিয়া চার হাজার সিরিজের গ্রাকিক্স কার্ড বাজারে উন্মোচন করে। এর মধ্যে RTX 4090 কার্ড নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সবথেকে বেশি। আজ এটির আর্কিটেকচার, স্পেসিফিকেশন, নতুন টেকনোলজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কার্ডের মেমোরি কনফিগারেশনে এসেছে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন। প্রতি এসএমএ ১২৮ কিলোবাইট করে মোট ১৮ মেগাবাইট এর লেভেল ওয়ান এর পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে ৯৬ মেগাবাইট এর বিশাল লেভেল টু ক্যাশ যা কিনা আগের জেনারেশন থেকে ৬ গুণ বেশি। মাইক্রনের সাথে টাই আপ করে এবার এনভিডিয়া এডা লাভলেসে দিয়েছে ২৪ জিবিপিএস স্পিডের GDDR6X মেমোরি।
নতুন আরটি কোর ও টেন্সর কোর এর কারণে রে ট্রেসিং পারফর্মেন্স ও আপস্কেলিং পারফর্মেন্স বৃদ্ধি পাবে ২ থেকে ৪ গুণ। এই পাররম্যান্স আপলিফট হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে নতুন এই কোরগুলোর ওয়ার্কিং প্রিন্সিপাল ও ইন্টারনাল আর্কিটেকচারের মধ্যকার পরিবর্তন।
দুটি জিপিইউতে রয়েছে ৩টি করে ফ্যান ও বেশ বড় হিটসিংক। জোটাক এর ভার্সনে রয়েছে নিজস্ব আইসস্ট্রোম কুলিং টেকনোলজি অন্যদিকে কালারফুলে এক্স রেডিয়েটর ও এক্স ব্য্যাকবোর্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। গেমিং এর সময় জোটাক ও কালারফুল, দুটিরই এভারেজ টেম্পারেচার ছিল্ল ৬৮ ডিগ্রী ও ম্য্যাক্সিমাম টেম্প ছিল ৮২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
ডিজাইন অনুয়ায়ী জোটাক এর AMP AERO বেশ এগ্রেসিভ ও দারুন ডিজাইন এর সাথে বাজারে এসেছে। এই জিপিইউটির কালার থিম হিসেবে নীল আর গ্রিন কালার দেওয়া হয়েছে। ওভারক্লকিং ও অন্যান্য মডিফিকেশনের জন্য দুটি জিপিইউ এর ভেন্ডরই ইউটিলিটি সফটওয়্যার অফার করছে। জোটাক এর জিপিইউটি ফায়ারস্ট্রোম ও কালারফুলের জিপিইউটি আইগেম সেন্টার সফটওয়্যার দিয়ে ওভারক্লকিং ও অন্যান্য টুইকিং করা যাবে।
এনভিডিয়া এবারের RTX 4090 এর দাম নির্ধারন করেছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা আগের জেনারেশন এর ৩০৯০ থেকে ৯ হাজার টাকা বেশি ।নেক্সট জেনারেশন এর আরটিকোর ও ডিএলএসএস এর মত আকর্ষনীয় আপগ্রেড থাকলেও মেমোরি সেকশনে বলতে গেলে কোনো চেঞ্জই আনেনি তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।