Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home মাটি ছাড়াই সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদনে সফল রাবি গবেষকরা
অর্থনীতি-ব্যবসা কৃষি

মাটি ছাড়াই সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদনে সফল রাবি গবেষকরা

Saiful IslamMarch 17, 20253 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : মাটি ছাড়াই জন্মাচ্ছে পুষ্টিকর সবুজ ঘাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে মাটির স্পর্শ ছাড়াই ন্যূনতম পানিতে পশুখাদ্য উৎপাদন সম্ভব, যা দেশের পশুপালন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবুজ পশুখাদ্য বছরজুড়ে প্রাণীদের উচ্চপুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। যা পশুখাদ্য সংকট মোকাবেলা, দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জমির ওপর নির্ভরতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Krishi

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান পশুখাদ্যের চাহিদা মেটাতে হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি টেকসই ও কার্যকর সমাধান হতে পারে। তবে বৃহৎ পরিসরে বাস্তবায়ন ও প্রাথমিক সেটআপ খরচ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও পরিবেশবান্ধব ও খরচসাশ্রয়ী এ প্রযুক্তি কৃষি ও পশুপালন খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে সয়েললেস হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি (মৃত্তিকাবিহীন জল চাষ বিদ্যা) নিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতারুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক মো. বাহারুল ইসলাম এবং এমএস থিসিস শিক্ষার্থী মো. শাকিল খান। গবেষণা প্রবন্ধসমূহ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বায়োসায়েন্স ও ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এগ্রোনোমি এন্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত হয়েছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে করা হয়েছিল।

গবেষণায় ভুট্টা, গম এবং সুদান ঘাস (ফডার)—এ তিনটি পশুখাদ্যের হাইড্রোপনিক পদ্ধতির মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ করা ভুট্টার প্রতি কেজি বীজ মাত্র ১২-১৪ দিনের মধ্যে ৬-১০ কেজি তাজা পশুখাদ্য উৎপাদন করেছে, যা মাটিভিত্তিক চাষের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। গমের প্রতি কেজি বীজে ৫ দশমিক ৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়েছে। এতে ২০ লিটার পানি এবং ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম রাসায়নিক সারের প্রয়োজন পড়ে।

পুষ্টি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ভুট্টার পশুখাদ্যে প্রচলিত পশুখাদ্যের তুলনায় ১৬-১৮ শতাংশ বেশি অপরিশোধিত প্রোটিন এবং ৬০-৬৫ শতাংশ বেশি হজমযোগ্য পুষ্টি রয়েছে। এছাড়া এতে উচ্চ ভিটামিনের উপস্থিতি থাকায় পশুর ফাইবার হজম ক্ষমতা উন্নত হয়েছে, যা দুধের উৎপাদন ও পশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ট্রে-ভিত্তিক এ ব্যবস্থায় ন্যূনতম বিনিয়োগ ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় এবং প্রতি কেজি বীজে গড়ে ৭ কেজি পশুখাদ্য উৎপাদিত হয়, যা এটিকে ছোট কৃষকদের জন্য একটি সাশ্রয়ী বিকল্প করে তোলে। উল্লম্ব স্ট্যাকিং সিস্টেমে একাধিক স্তরে পশুখাদ্য উৎপাদন করা যায়, যা কম জায়গায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি ফলন নিশ্চিত করে। তবে এজন্য উচ্চতর প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমিত আবাদযোগ্য জমি, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের ঐতিহ্যবাহী পশুখাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া দেশে এমন অনেক অনাবাদি জমি (নন-এরাবল ল্যান্ড) রয়েছে, যেখানে ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদন একটি টেকসই বিকল্প হতে পারে। এ পদ্ধতিটি শুধু পশুখাদ্য উৎপাদনেই নয়, অন্যান্য সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

এ গবেষক আরও বলেন, এ প্রযুক্তি সাশ্রয়ীভাবে পানি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে, যা কৃষির ভার্টিক্যাল সম্প্রসারণে সহায়ক হয় এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস করে। এটি সম্পূর্ণ দেশীয় সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি, ফলে খরচ তুলনামূলক কম এবং পশুপালনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে। তবে পশুর স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব কতটুকু দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর, তা নির্ধারণে আরো অধিক গবেষণা প্রয়োজন।

গবেষণা কাজে সহযোগিতা করেছেন পিএইচডি গবেষক মো. বাহারুল ইসলাম। তিনি জানান, হাইড্রোপনিক পশুখাদ্য দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারে এবং খাদ্যের মান উন্নত করতে সক্ষম। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামারিরা এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক খাদ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আরও লাভবান হতে পারেন।

বাজারজাতকরণের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—জানতে চাইলে ড. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল অল্প সময়ে, বছরব্যাপী টেকসই পদ্ধতিতে গো-খাদ্যের সংকট নিরসন করা। সে লক্ষ্যে ২০২০ সাল থেকে আমরা এ গবেষণা শুরু করেছি। এ চাষ পদ্ধতি আমিতে শিকড়সহ গো-খাদ্য ব্যবহার সম্ভব, পর্যায়ক্রমে এটি উন্নত করেছি। যদি কেউ আগ্রহী হন, আমরা কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে পারি। তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য টেকসই ও কৃষকবান্ধব সমাধান তৈরি করা।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অর্থনীতি-ব্যবসা উৎপাদনে কৃষি গবেষকরা ছাড়াই! পশুখাদ্য মাটি রাবি সফল সবুজ?
Related Posts
সোনার দাম

দেশের বাজারে আরো বাড়ল সোনার দাম, ভরিতে যত টাকা

December 15, 2025

আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন

December 15, 2025
মোবাইল ফোনের দাম

কমে যেতে পারে মোবাইল ফোনের দাম

December 15, 2025
Latest News
সোনার দাম

দেশের বাজারে আরো বাড়ল সোনার দাম, ভরিতে যত টাকা

আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন

মোবাইল ফোনের দাম

কমে যেতে পারে মোবাইল ফোনের দাম

সোনার দাম

আজ দেশের বাজারে যে দামে বিক্রি হবে সোনা

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার ডিজিটাল লোন বিতরণ

Bank

জামানত ছাড়াই ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন, কিস্তি মাত্র ২,০৭৬ টাকা!

Gold

দেশে সোনার দামে বড় লাফ, ভরিতে যত টাকা

Bank

সহজ শর্তে টাকা রাখার সুযোগ, সুদের হার নির্ভর করে সঞ্চয়ের ওপর

সঞ্চয়পত্র

সঞ্চয়পত্র কেনায় যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ – জেনে নিন পরিকল্পিত বিনিয়োগের কৌশল

দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন, উপহার পাচ্ছেন ক্রেতারা

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.