বিনোদন ডেস্ক : ‘দেশে রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে, সেই দুর্ভিক্ষ থেকেই হিরো আলমদের উত্থান’- খ্যাতি অভিনেতা ও নাট্যকার মামুনুর রশীদের এমন মন্তব্য নিয়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। এবার সেই রুচির দুর্ভিক্ষ কাটাতে বড় পদক্ষেপ নিলেন হিরো আলম।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সামাজিক মাধ্যমের চর্চিত এই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি অফিসে একজন শিক্ষক রেখেছেন। তার কাছে পড়াশোনা শিখছেন। নিজের কথায় আঞ্চলিকতার যে টান এসে যায়, সেটি উতরানোর চেষ্টা করছেন হিরো আলম।
তার কথায়, ‘আমার বাড়ি উত্তরাঞ্চলের বগুড়া জেলা হওয়ায় ভাষায় আঞ্চলিকতার টান চলেই আসে। সেটি পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। তাছাড়া আমার কিছু উচ্চারণে সমস্যা আছে, সবাই বলে হিরো আলম সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। এটিও পারবে। সে জন্য নিজেকে আমি পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। দেখি কতদূর পরিবর্তন হতে পারি। আমার কথা নিয়ে যেহেতু মানুষের এত প্রবলেম, সেটাই আগে ঠিক করব।’
হিরো আলম বলেন, ‘অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন আমি পড়ালেখা শিখি, সুশিক্ষিত হই। সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে অফিসে শিক্ষক রেখে একটু একটু করে শেখার চেষ্টা করছি। অনেকে আমাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদালয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেটি তো আর আমার পক্ষে সম্ভব না। কারণ আমি নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। আমাকে পরিবার চালানোর জন্য আয় করতে হয়।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমার কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো পরিবর্তন করলে আর কোনো সমস্যা হবে না। আমাকে নিয়ে কেউ আর কথা বলতে পারবে না। কেউ রুচির দুর্ভিক্ষে পড়বে না। রুচির দুর্ভিক্ষ কাটাতে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছি।’
যদিও যে শিক্ষকের কাছে হিরো আলম পড়াশোনা শিখছেন, তার পরিচয় দিতে চান না তিনি। তার কথা, ‘শিক্ষকের পরিচয় এখন দিতে চাই না। সময় আসলে আমি বলে দেব। এখন আপাতত বলতে চাচ্ছি না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।