জুমবাংলা ডেস্ক : বাঙালিরা মাছ প্রিয়। নানান প্রজাতির মাছে সুসম্পন্ন হয় তাদের তৃপ্তির ভোজন। স্থানীয় বা পার্শ্ববর্তী বাজারে গিয়ে ১০ প্রজাতির মাছ থেকে নিজের পছন্দমত ১ প্রজাতির মাছ দরদাম করে কিনে ব্যাগে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসার মধ্যে রয়েছে দারুণ একটা ভালোলাগার অনুভূতি।
বাজারের কিনে আনা সেই মাছ রন্ধন পদ্ধতি বা রেসিপিতে কালিয়া কিংবা ভাজাতেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু মাছের পাশাপাশি মাছের তেলের মধ্যেও যে উপকারিতা রয়েছে তা অনেকের কাছেই হয়তো অজানা। কেননা, অধিকাংশরাই মাছ খেতে ভালোবাসেন, মাছের তেল খেতে নয়।
তবে, মৎস্য গবেষক বলছেন অন্যকথা। শুধু মাছই নয়, মাছের তেলেও নিহিত রয়েছে মানবদেহের উপকারী গুণাগুণ। আমাদের হার্ট বা হৃদপিণ্ডের জন্য যথার্থ পুষ্টির জোগান দেয়। পরিমিতভাবে মাছ থেকে হার্টের অনেক রোগব্যাধিও দূর হয়ে যায়।
রন্ধন পদ্ধতি অনুযায়ী মাছের কালিয়াতে কিংবা পিয়াজির মতো অল্প তেলে ভেজে বড়া তৈরি করে রুই মাছের তেল খাওয়া যায়।
মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল কবির বলেন, রুই মাছের তেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরল বা এলডিএল এর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় ফলে আমাদের রক্তনালী পরিষ্কার থাকে। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধে না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়া ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
মাছের তেলে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আর তৃতীয় উপকার হলো আমাদের রক্তের অণুচক্রিকা উপাদানকে জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে ধমনিতে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং স্বাভাবিক গতি নিয়ে চলাচল করতে পারে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল।
তিনি আরো বলেন, রুই মাছের তেল উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যাকে দূর করে হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতাকে বাড়ায়। মস্তিষ্কের কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
মাছের মধ্যে সর্বাধিক সহজলভ্য এবং সুস্বাদু মাছ যেহেতু রুই, তাই এই রুই মাছের তেলকেই ‘মাছের তেল’ হিসেবে পরিমিতভাবে খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে জানান এই সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল কবির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।