বিনোদন ডেস্ক : দিন কয়েক আগেই ‘ন্যাড়া’ মাথার ছবি শেয়ার করে নেটদুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। আগামী ৭ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘ব্যুমেরাং’। এতে ন্যাড়া মাথায় দেখা যাবে তাকে।
সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মাথা ‘ন্যাড়া’ করার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রুক্মিণী। অভিনেত্রী বলেন, ন্যাড়া মাথায় আমাকে দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এমনকি, মুম্বাইতেও আমার লুক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসলে এই প্রথম আমার কোনো লুক নিয়ে এতটা চর্চা হল।
বর্তমানে রুক্মিণী টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী। অনেকেই হয়তো এই ধরনের লুকে অভিনয় করতে রাজি হতেন না। কিন্তু সিনেমার প্রস্তাব পাওয়ার পর বেশ খোশ মেজাজেই রাজি হয়ে যান তিনি।
এ প্রসঙ্গে রুক্মিণী বলেন, ‘মানুষ ভালো বলবেন, না কি খারাপ, আমি সেসব কিছুই ভাবিনি। আমার কাজটা করে ভালো লাগছে কি না, সেটাই বেশি করে মাথায় কাজ করছিল। তাছাড়া লোকে কী ভাববে, সেটা ভেবে জীবন যাপন করলে তখন তা আর নিজের জীবন থাকে না! সেটা করলে আমার জীবনের রিমোটটা তখন তাদের হাতে থাকবে। আর আমি সত্যিই রোবট হয়ে যাব।’
‘ব্যুমেরাং’ সিনেমায় জিতের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন রুক্মিণী। আপাতত নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত দেব। তবে অভিনেত্রীর এই লুক প্রথম দেখার পর কী বলেছিলেন দেব-জিৎ? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথমেই জিতের প্রসঙ্গে টেনে রুক্মিণী বলেন, সেটে প্রথম দিন আমাকে ওই মেকআপে দেখে জিৎদা বললেন, ‘বাহ্! বেশ ভাল লাগছে তো তোমাকে দেখতে। সেদিন জিৎ দা খুবই খুশি হয়েছিলেন এবং বিষয়টা সমর্থন করেছিলেন।
অন্যদিকে প্রথম দিন মেকআপ নেওয়ার পরই শুটিং ফ্লোর থেকেই দেবকে নিজের ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন রুক্মিণী। সিনেমায় বিশেষ কারণে একটি সুপারবাইক ব্যবহার করা হয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ওই সুপারবাইকে বসেই ছবিটা তুলে দেবকে পাঠিয়েছিলাম। ও লিখে পাঠিয়েছিল, ‘মাথার চুল ছাড়াও যে তোমাকে এতটা ভালো লাগতে পারে, এটা আমার কোনো ধারণাতেই ছিল না।’ আমাকে নাকি সুপারমডেলের মতো দেখতে লাগছে, বলেছিল দেব।
রুক্মিণীর ভাষ্যমতে, হলিউডে তো এ রকম লুকে অনেক অভিনেত্রীকেই দেখা গিয়েছে। আসলে ন্যাড়া হয়েও যে গ্ল্যামারাস হওয়া সম্ভব, আমার মনে হয়, লুকটা সে কথাই প্রমাণ করে।’
জানা গেছে, ‘ব্যুমেরাং’-এ দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুক্মিণী। একটি বাস্তব চরিত্র, অন্যটি রোবটের। তিনি জানালেন, রোবটের চরিত্রের রূপটানের জন্য ২ ঘণ্টা সময় লাগত। তারপর ন্যাড়া লুকের জন্য প্রস্থেটিক তৈরিতে আরও ৩ ঘণ্টা। মেকআপের জন্য মোট ৫ ঘণ্টা চেয়ারে বসে থাকতে হত রুক্মিণীকে।
এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব কঠিন ছিল সময়গুলো। মনে আছে ভোর ৫টা থেকে মেকআপ শুরু হত। কিন্তু রূপটান শিল্পী বীথিকা বেনিয়া আমার সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজ করছে। খুব ভালো কাজ করেছে সে।
পরিশ্রমের ফল যে ভালো হয়, সেটা বিশ্বাস করেন রুক্মিণী। তাই শেষ পর্যন্ত যখন নিজের লুকটা দেখেন, তখন বুঝতে পারেন, তাদের পরিশ্রমটা সার্থক।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।