লাইফস্টাইল ডেস্ক : যারা পার্কে হাঁটেন অথবা দলবেঁধে রাস্তায় হাঁটতে বের হন, তারা অনেকেই হাঁটার সময় একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন। আবার একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে একজনের সঙ্গে অন্যজনের অনেক সময় খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এদের ক্ষেত্রে দেখা যায় হাঁটার পরে গল্প করতে করতে অনেক রকম খাবার খেয়ে ফেলেন। দলগতভাবে যাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় তারা মাঝে মধ্যে হাঁটার পরে ওয়ান ডিস পার্টিতে অংশ নেন। এসব অভ্যাস থাকলে হেঁটে কাঙিক্ষত ক্যালরি কমাতে ব্যর্থ হতে পারেন।
এভারকেয়ার হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর পরামর্শ— যারা দলগতভাবে হাঁটেন এবং হাঁটার সময় কথা বলেন তাদের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা উচিত। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আপনি পরিমাণ মতো হাঁটলে কোলেস্টরেল কমে আসবে। কেননা নির্দিষ্ট রিদমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গা অতিক্রম করতে পারলেই কিন্তু আপনি আপনার ক্যালরি বার্ন করতে পারবেন। অনেকে আছে হাঁটার সময় একটু স্লো হচ্ছেন, গতি একবার বাড়ছে, একবার কমছে; এগুলো আসলে সঠিক ব্যায়ামের মধ্যে পড়বে না।
একসঙ্গে অনেকের সঙ্গে হাঁটতে বের হলে চুপচাপ হাঁটা শেষ করুন। এরপর একসঙ্গে বসে কিছু সময় গল্প করতে পারেন। হাঁটার উপকারিতা পেতে টানা ৩০ মিনিট হাঁটা শেষ হলে বসে পানি পান করতে পারেন। ডাবের পানিও খেতে পারেন। এ ছাড়াও খেতে পারেন বাদাম অথবা ঘরে তৈরি লাচ্ছি।
হাঁটতে যাওয়ার আগে মানসিকভাবে এসব প্রস্তুতি রাখা দরকার। সঙ্গে পানি রাখতে পারেন। তবে হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। একটু কোথাও বসে পানি পান করবেন। সঙ্গে একটি সুতির টাওয়াল রাখতে পারেন। যেটা দিয়ে ঘাম মুছে ফেলতে পারেন। যাদের অ্যাজমা আছে বা ডাস্ট অ্যালার্জি আছে তারা অবশ্যই মাস্ক মুখে রাখবেন। হাঁটার মাঝে মাঝে একটু জগিং করলে অনেক বেশি ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব। হাঁটার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে হাত নাড়াবেন। এতে হাতেরও ব্যায়াম হবে।
মনে রাখতে হবে হাঁটার পরে ভারি খাবার না খাওয়াই ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।