বিনোদন ডেস্ক : কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গেল মাসেই ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন এই তারকা। এরপর ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখান থেকে চলতি মাসেই দেশে ফিরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এই অভিনেতার।
ওয়ালিউল হক রুমির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত। সোমবার এই অভিনেতার মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনায় পৌঁছান তিনি। এরপর সেখানে জানাজা ও দাফন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
রাশেদ জানান, চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকরা ৬ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন অভিনেতা রুমিকে। বিষয়টি কাউকে জানাতে বারণ করেন তিনি।
এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার একটা ভাই আজ নেই। আমার আপন ভাইয়ের থেকে তিনি কোনো অংশে কম ছিলেন না। ইন্ডাস্ট্রিতে রুমি ভাই সবসময় আমাকে দেখে রেখেছেন। তার মতো ভালো মানুষ হয় না। কেউ একজন বিপদে পড়লে তিনি এগিয়ে আসতেন।’
রাশেদ সীমান্ত বলেন, ‘যখন তার ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন তাকে নিয়ে ঢাকার ক্যানসার হাসপাতালে যাই। সেখানকার চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তাকে চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, এটার চিকিৎসা হবে না। সর্বোচ্চ ৬ মাসের মতো বাঁচবেন তিনি, যদি কোনো মিরাকেল না ঘটে।’
নিজের জীবনের বড় এই দুঃসংবাদ কাউকে জানাতে চাননি অভিনেতা রুমি। রাশেদ সীমান্তের ভাষায়, ‘ভাইকে দেশে নিয়ে আসার পরে আমি তাকে বলি, বিষয়টা আমরা সবাইকে জানাই। কিন্তু তিনি আমাকে নিষেধ করেন। বলেন, আমি সুস্থ হয়ে নেই পরে সবাইকে বলবো। ভাইয়ের বিশ্বাস ছিল, তিনি সুস্থ হবেন। আবারও কাজে ফিরবেন। কিন্তু আর ক্যানসারকে জয় করতে পারলেন না। সকলের মন জয় করে ফিরলেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
অভিনেতা রুমির ভাই রবিউল হক রুবেলে বলেন, ‘আমার ভাই সবসময় মানুষের উপকার করেছেন। তাকে হারিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের একজন অক্সিজেন হারিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিবারের হাল ধরেছেন রুমি। এছাড়া সবসময়ই পরিবারের সকলের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আমাদেরকে কখনো বাবার অভাব বুঝতে দেননি।’
বরগুনা জেলার বামনায় জন্মগ্রহণ করেন ওয়ালিউল হক রুমি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হকের ৬ ছেলে-মেয়ের তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমিই সবার বড়। রুমির দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা ও তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে কানাডায় থাকেন। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।