দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। দিন যতই যাচ্ছে বয়স যেন কমছে। মাঝে মধ্যেই ভক্তদের তাক লাগিয়ে দেন রুনা। কখনও অভিনয়ে, কখনও বা ফেসবুকে ছবি দিয়ে।
এখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ও ফ্যাশন শোগুলোতে বেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কাজটা যেমন বুঝে করেন, কথাও বলেন স্পষ্ট ভাষায়। তবে অনেক দিন ধরে কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনার শিকার হচ্ছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুনা খান জানিয়েছেন, নিজের নৈতিক বিষয়গুলো কখনো বিসর্জন দেননি। তবুও তিনি সফল।
তিনি বলেন, ২০০৫ থেকে ২০২৫, বিশ বছর ধরে একজন পেশাদার মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করছি। এই দীর্ঘ সময়ে আমার কাছে যেসব কাজের প্রস্তাব এসেছে, তার মধ্যে যেগুলো ভালো লেগেছে, কেবল সেটাই করেছি। অন্যদিকে গত বিশ বছরে আমার অধিকাংশ নারী সহকর্মীর ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছে ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে। পরিচালকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে-পরকীয়া— এসবের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার হয়েছে। যত দিন পরিচালকের সঙ্গে প্রেম বা সম্পর্ক, তত দিন সেই পরিচালকের কাজে ওই অভিনেত্রী; সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর একটা পাসিং শটেও তাকে আর পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, এসব অসততার চর্চা করে পর্দায় তারা বোঝানোর চেষ্টা করে, লম্বা হাতার ব্লাউজ, গাঢাকা পোশাক পরা মানেই শালীনতা! অথচ তাদের বাস্তব জীবনে শালীনতার রেশমাত্র নেই। এই পুরো শ্রেণির মাথায় আগুন ধরে গেছে, সারা জীবন-যৌবন দিয়ে, পরিচালকের প্রেমিকা হয়েও তারা ক্যারিয়ার গড়তে পারল না। আর আমি কারো সঙ্গে প্রেম-পরকীয়া ছাড়া যোগ্যতা দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলাম। এটা সহ্য করতে না পেরে বলা হচ্ছে, আমার পোশাক অশালীন।
সম্প্রতি পোশাকের কারণে ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসেন রুনা খান। একটি ফটোশুটকে ঘিরেই এই আলোচনা পৌঁছে যায় বিতর্কে।
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, কাপড়ের আবার অশালীনতা কী? অশালীন তো হয় কর্ম। বিশেষ করে আমাদের নাটকের অভিনেত্রীদের বেশির ভাগের জীবন চূড়ান্ত অশালীন কর্মকাণ্ডে ভরা, আর পর্দায় শরীরঢাকা কাপড় পরে তারা শালীনতা প্রতিষ্ঠা করেন! পোশাকের কোনো শালীনতা-অশালীনতা হয় না। বোরকা যেমন পোশাক, সুইমস্যুটও পোশাক, যার যেটা ভালো লাগবে, পরবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, এটা আমাদের সমাজে যায় না। কিন্তু পরিচালকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে কাজ করা পৃথিবীর কোন সমাজে গ্রহণযোগ্য? দেখুন, কার স্কিন কে কতখানি দেখাবে, সেটা তার ব্যাপার। আর স্কিন কি রুনা খানই প্রথম দেখিয়েছে? আমি তো শাবানা আপাকেও ক্লিভেজ দেখিয়ে নাচতে দেখেছি। আমি সিনেমা দেখা মানুষ ভাই; পর্দায় শাবনূর, মৌসুমী, শাবনাজ আপা— প্রত্যেকের ক্লিভেজ দেখেছি। তাহলে কি ২০-২৫ বছর বয়সে দেখানো যাবে, আর আমার ৪০ বছর বলে দেখানো যাবে না? কিন্তু এই দেশে তো ৫০-এর অভিনেত্রীও দেখাচ্ছেন। তাহলে? এই দৃষ্টিভঙ্গিটা কারা তৈরি করছেন? যারা ব্যক্তিগত জীবনে অশালীনতার চর্চা করে পর্দার পোশাক দিয়ে?
রিলিজ হলো ভরপুর রোমান্স নিয়ে নতুন ওয়েব সিরিজ, ভুলেও বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না
এদিকে বহু বছর পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে রুনা খান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ঊনাদিত্য’। সম্প্রতি শুটিং শেষ করেছেন ‘নিদ্রাসুর’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেরও। সামনে জুলফিকার জাহেদীর একটি সিনেমাতেও দেখা যাবে তাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।