বিনোদন ডেস্ক : সকল সদস্য অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত, এমন পরিবারে বেড়ে ওঠা এই তারকা-কন্যার। দাদু-দিদা থেকে মাসি-মেসোমশাই সকলেই বলিউডে ছাপ রেখে এসেছেন। এমনকি, তাঁর মা-ও ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সংসার করবেন বলে বহু দিন হল অভিনয়জগৎ থেকে সরে এসেছেন। তাই আলোর রোশনাই থেকে দূরে রয়েছেন নাওমীকাও।
নাওমীকা সরন। অভিনেত্রী রিঙ্কি খন্নার মেয়ে তিনি। দিদা ডিম্পল কাপাডিয়া। দাদু রাজেশ খন্না। মাসি টুইঙ্কল খন্না। মেসোমশাইও বলিউডে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন। কিন্তু এই পরিবারে জন্মেও সিনেমাজগৎ থেকে এত দূরে কেন তিনি?
নাওমীকার মা রিঙ্কি বলিউডে হাতে গোনা কাজ করলেও ধীরে ধীরে নাম করছিলেন। কেরিয়ার ঠিকমতো শুরু হওয়ার আগেই তিনি বিয়ে করে নেন। ২০০৩ সালে শিল্পপতি সমীর সরনকে বিয়ে করে দেশ ছেড়ে লন্ডনে গিয়ে থিতু হন রিঙ্কি।
বিয়ের এক বছর পরেই জন্ম নাওমীকার। হরিয়ানার গুরুগ্রাম অঞ্চলের দ্য শ্রীরাম স্কুলে পড়াশোনা শুরু তাঁর। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, লন্ডন থেকে ফেরার পর মায়ের সঙ্গে কলকাতায় এসেও কিছু দিন থেকেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন রিঙ্কি। দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে এখন মায়ানগরীতেই বাস করেন রিঙ্কি-সমীর।
বর্তমানে স্নাতক স্তরের পড়াশোনার জন্য মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হয়েছেন নাওমীকা। মাঝেমধ্যেই দিদা এবং মাসির সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় কয়েক বার ধরা পড়লেও সম্প্রতি নাওমীকা আবার চর্চায় আসেন।
১৯ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার জন্মদিন ছিল নাওমীকার। ১৮ বছরে পা দিলেন তিনি। সেই উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে বোনঝির একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন টুইঙ্কল খন্না।
তার পর থেকেই সমাজমাধ্যম তোলপাড়। টুইঙ্কল ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘আমার সুন্দরী বোনঝি ১৮ বছরে পা দিল। ছোটবেলায় যে মেয়েটা নিজের নাভি দেখলে ভয় পেত, সেই মেয়েটি আজ এত আত্মবিশ্বাসী। তোমাকে এত কাছ থেকে বড় হতে দেখেছি বলে মন খুশিতে ভরে উঠেছে। শুভ জন্মদিন।’’
ইতিমধ্যেই এই ছবি প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ পছন্দ করেছেন। বলিউডের তারকারাও জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন নাওমীকাকে। বলিপাড়াতেও এখন তাঁকে নিয়েই চর্চা। নাওমীকার ফ্যাশন সম্পর্কে ধারণা দেখে অভিভূত বলি তারকারা। কবে তাঁকে হিন্দি ছবিতে দেখতে পাবেন এই নিয়ে কৌতূহলও রয়েছে অনেকের।
ফ্যাশন ছাড়া কত্থক নাচেও পারদর্শী তিনি। ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেলও খুলেছেন নাওমীকা। শুধু নাচের ভিডিয়ো নয়, একটি শর্ট ফিল্মেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
যুবতী বয়সে মেয়েরা কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন, শরীর নিয়ে কটাক্ষ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য কী ভাবে সামাল দেবেন— এই বিষয়ের উপরেই তৈরি হয়েছে শর্ট ফিল্মটি।
ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যেই তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে। টুইঙ্কল-পুত্র আরভের সঙ্গে একটি নিজস্বীও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছিলেন নাওমীকা। বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, তাঁদের দু’জনকে নাকি যমজ ভাইবোনের মতো দেখতে।
অনেকে আবার মনে করেন, তাঁর মুখ অবিকল ডিম্পলের মতো। রূপের গুণে বলিউডের অভিনেত্রীদের নাকি ১০ গোল দিতে পারেন নাওমীকা, দাবি অনেকের। ১৯৯৯ সালে ‘প্যার মে কভি কভি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডজগতে পা রেখেছিলেন রিঙ্কি। ‘জিস দেশ মে গঙ্গা রেহতা হ্যায়’, ‘ইয়ে হ্যায় জলওয়া’ ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
‘মুঝে কুছ কেহনা হ্যায়’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রিঙ্কি। ২০০১ সালে ‘মজনু’ নামের একটি তামিল ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০০৩ সালে ‘চমেলি’ ছবিতে তাঁকে শেষ বারের মতো বড় পর্দায় দেখা যায়। তার পরেই বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন রিঙ্কি।
গোবিন্দ, সোনালী বেন্দ্রে, করিনা কপূর খান, তুষার কপূর, সলমন খান, ঋষি কপূরের মতো বলিউডের নামকরা তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করা রিঙ্কি এখন বলিপাড়া থেকে অনেক দূরে। রিঙ্কি-কন্যা নাওমীকা এখন সিনেমাতে কাজ করবেন কিনা, তা নিয়ে বলিপাড়ার অধিকাংশের প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।