Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home রাসেলস ভাইপার কামড়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ
    লাইফস্টাইল

    রাসেলস ভাইপার কামড়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ

    Shamim RezaJune 22, 20248 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : সাপ নাম শুনলে ভয় পায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সাপ হচ্ছে একটি নিরীহ প্রাণী। ছোবল দিতে পারে এমন ভয়েই সাপ দেখা মাত্র মানুষ মারতে উদ্যত হয়। পৃথিবীতে ৪ হাজার ৭৩ প্রজাতির সাপ আছে। বাস্তবতা হচ্ছে এর মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ সাপ বিষধর।

    Russell's Viper

    বাকি সবই নির্বিষ। আর বাংলাদেশে ২ প্রজাতির গোখরো, ৫ প্রজাতির কেউটে এবং ভাইপার প্রজাতির রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হন এবং এদের মধ্যে ছয় হাজার মানুষ মারা যান। অত্যন্ত বিষধর প্রজাতির রাসেলস ভাইপার সাপ বাংলাদেশ থেকে বহু আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে মনে করা হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে এর অবাধ বিচরণ ভাবিয়ে তুলছে বিশেষজ্ঞদের।

    বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়ঙ্কর রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে উদ্বেগজনকহারে। রাসেল ভাইপার নামক বিষধর সাপের আক্রমণে আতঙ্কে দিন পার করছেন জনসাধারণ। দেশের চরাঞ্চল এবং নদীর তীরবর্তী লোকালয়ে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব বৃদ্ধি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক।

    ২০২০ সালের বর্ষাকালে করোনা মহামারির মধ্যেই রাজশাহী-পাবনায় হঠাৎ করেই রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব বেড়ে যায়। পদ্মার চরের ফসলের মাঠ, ঝোপঝাড় এমনকি বসতবাড়িতেও ব্যাপকহারে দেখা যায় সাপটিকে। এতে জেলা জুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। সাপের কামড়ে প্রাণও হারান অনেকে।

    মানিকগঞ্জে গত তিন মাসে সাপটির কামড়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত পাঁচজন। ঢাকার সীমান্ত জেলা ফরিদপুরের পদ্মার তীর ও আড়িয়াল খাঁ চরাঞ্চলে গত ছয় মাসে সাপটির কামড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে জেলা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চাষিরা ভয়ে জমিতে যেতে চাচ্ছেন না। এছাড়া দেশের সর্বদক্ষিণের দ্বীপ উপজেলা ভোলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত পাঁচ দিনে উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি রাসেলস ভাইপার। আতঙ্কিত এলাকাবাসী ১১টি সাপকেই মেরে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

    রাসেল ভাইপারের বাংলা নাম চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া। বাংলাদেশে অল্প যে কয়েকটি সাপ অত্যন্ত বিষধর, তার মধ্যে এটি একটি। রাসেল ভাইপার সাপের বৈজ্ঞানিক নাম ডাবোয়ইয়া রাসেলি, যা ভাইপারিডি গোত্রের একটি ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সাপ। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এ সাপ বেশি দেখা যায় এবং এটি ভারতের সবচেয়ে বড় চারটি সাপের মধ্যে একটি। রাসেল ভাইপারের শরীরে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকে। আর অজগরের শরীরজুড়ে লম্বা রেখার মাঝে গোল গোল চিহ্ন থাকে।

    বিষধর হিসেবে রাসেলস ভাইপার বিশ্বে পঞ্চম স্থানে থাকলেও হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে প্রথম অবস্থান। আক্রমণের ক্ষেত্রে সাপটি এতটাই ক্ষিপ্র যে ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে কামড়ের প্রক্রিয়া শেষ করে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১০৪ প্রজাতির সাপের মধ্যে ৩০ প্রজাতিই বিষধর। সবচেয়ে বেশি বিষধর রাসেলস ভাইপার। তবে শুধু বাংলাদেশেই নয়, সাপটির বিচরণ ভারত, ভুটান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, চীন ও মিয়ানমারেও। এটি সাধারণত ঘাস, ঝোপ, বন, ম্যানগ্রোভ ও ফসলের খেতে বাস করে।

    প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসেলস ভাইপারের প্রজননকাল মে থেকে জুলাই পর্যন্ত। যে কারণে সাপটির দেখা মিলছে বেশি। সাপটির অভিযোজন ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

    গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের সরীসৃপ-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সোহেল রানা বলছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের শুষ্ক এক ফসলি জমিতে ইঁদুর খেতে আনা গোনা ছিল বেশি। তবে এখন দুই তিন ফসলি জমি বেড়ে যাওয়ায় খাবারের জোগানও বাড়ছে। ফলে সাপটির প্রজনন বেড়ে যাচ্ছে।

    সাম্প্রতিক সময়ে রাসেলস ভাইপার সারা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে সোহেল রানা বলেন, আগের চেয়ে সাপটির নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। এমনকি কচুরিপানার মতো ভাসমান কোনো কিছুর সঙ্গে ভেসে ভাটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই বলছেন, খেতের সবজি, ফসল বা কৃষিপণ্যের সঙ্গেও সাপটির স্থানান্তর ঘটতে পারে।

    তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এ সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় না বলে জানিয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি। পাশাপাশি হাসপাতালে সাপে কামড়ের ওষুধ ‘অ্যান্টিভেনম’ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বলছেন তারা।

    বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামীণ ও কৃষিনির্ভর চর এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি এর উপস্থিতি বেশি চোখে পড়ছে। পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন জেলায় এটি বেশি দেখা যাচ্ছে এবং মানুষকে দংশনের ঘটনাও ঘটছে। তাই এখন এই সাপ নিয়ে আলোচনা ও আতঙ্ক দুটিই ছড়াচ্ছে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রকল্প ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের প্রায় ২৭টি জেলায় রাসেলস ভাইপার আছে। জানা গেছে, অধিক প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন রাসেল ভাইপার সাপ ডিম না দিয়ে একসঙ্গে ২০ থেকে ৮০টি পর্যন্ত জীবন্ত বাচ্চা প্রসব করতে পারে। ফলে খুব সহজে এসব বাচ্চা বন্যার পানির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তীতে পূর্ণবয়স্ক হয়ে আবারও বংশবিস্তার করছে।

    চিকিৎসক এবং প্রাণিবিদ্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে দেশে প্রচলিত অ্যান্টিভেনমের মাধ্যমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করা সম্ভব। তবে সতর্কতার বিকল্প নেই। তাই এ বিষয়ে দেশের সব অঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

    একই সঙ্গে জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও অ্যান্টিভেনম টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

    বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশে ‘চন্দ্রবোড়া’ বা ‘উলুবোড়া’ নামে বেশ পরিচিত। অনেকেই বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপ ভারত থেকে ভেসে বাংলাদেশে এসেছে এবং এটি মাঝখানে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। যার দরুন তাকে রাখা হয়েছিল জাদুঘরে। তবে এ রকম কথার তেমন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশই হচ্ছে এই সাপের আদি বাসস্থান।

    এছাড়া দেশের বেসরকারি সংস্থা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনও বলছে, দেশে রাসেলস ভাইপার থেকেও বিষধর সাপ রয়েছে। সবচেয়ে বিষধর সাপ হিসেবে রাসেলস ভাইপারের নাম প্রচার করা হলেও কেউটে সাপ রাসেলস ভাইপারের চেয়েও বেশি বিষাক্ত।

    ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাসেলস ভাইপার (Russell’s viper) (Daboia russelii) বা চন্দ্রবোড়া সাপ আমাদের উপমহাদেশে সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয় ১৭৯৭ সালে। জর্জ শ এবং ফ্রেডরিক পলিডোর নোডার ১৭৯৭ সালে চন্দ্রবোড়া সাপ নথিভুক্ত করেন।

    এর আগে ১৭৯৬ সালে বিখ্যাত ‘প্যাট্রিক রাসেল’ তার বইয়ে ভারতীয় সাপদের বিষয়ে পরিচয় দিতে চন্দ্রবোড়া সাপের পরিচয় নথিভুক্ত করেছিলেন। যার জন্য পরবর্তী সময়ে তার নামের সম্মানেই চন্দ্রবোড়া সাপের নামকরণ রাসেলস ভাইপার (Russell’s viper) করা হয়।

    পরে ১৯৮২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বিখ্যাত প্রাণিবিদ আলি রেজা খান তার লিখিত ‘ওয়াইল্ড লাইফ অব বাংলাদেশ : এ চেকলিস্ট’ বইয়ে চন্দ্রবোড়া সাপ নথিভুক্ত করেন।

    সাপ বিষয়ে গবেষক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে সুপরিচিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, রাসেলস ভাইপার নিয়ে অনেকে না জেনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সাপ দেখে সবাই ভয় পায় এবং এর কামড়ে মারা যায় এটাই মনে গেঁথে গেছে। চিকিত্সা নিলে যে ভালো হয়, সেটা সবাই জানে না বলেই আতঙ্ক হয়। তবে এই সাপে কামড়ালে ১০০ মিনিটের মধ্যে চিকিত্সা নেওয়া না হলে মৃত্যু হতে পারে। তাই খুব দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই সমাধান অনেকটা এগিয়ে নেওয়া যায়। তিনি বলেন, রাসেলস ভাইপার গর্ত এবং ঝোপঝাড়ের মধ্যে থাকে, বর্ষা এলে এরা বেরিয়ে আসে। তাই বিলে যাওয়ার সময় গামবুট এবং জিন্স পরে নিরাপদে থাকা যাবে।

    রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এটি হেমোটক্সিনের মতো কাজ করে, যা রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতাকে ব্যাহত করে। সাপের কামড়ে সাধারণত তীব্র ব্যথা, রক্তপাত, এবং কখনও কখনও মৃত্যুও হতে পারে। যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয়।

    বিভিন্ন গবেষণাপত্র এবং বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপারের বিষ একটি জটিল মিশ্রণ যা প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য বায়োমলিকিউল নিয়ে গঠিত। এই বিষ অত্যন্ত বিষাক্ত এবং এটি মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

    রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের উপাদান ‘এনজাইম’ টিস্যুর মাধ্যমে দ্রুত বিস্তার নিশ্চিত করে। আরেক উপাদান ‘ফসফোলিপেজ’ সেল মেমব্রেন ধ্বংস করে এবং হেমোলাইসিস সৃষ্টি করে, যা রক্ত কোষের ক্ষতি করে। অন্য উপাদান ‘প্রোটিনেজ’ দেহের প্রোটিন ভেঙে ফেলে, যা টিস্যু ধ্বংস এবং রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা হ্রাস করে।

    এছাড়াও রাসেলস ভাইপার সাপের বিষে থাকে ‘হেমোটক্সিন’। যা রক্তের জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এটি রক্তজমাট বাঁধার ক্ষমতা নষ্ট করে এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত সৃষ্টি করে। বিষে থাকা কিছু উপাদান কিডনিরও ক্ষতি করে। যা দংশনের পর থেকে সময় বাড়ার সাথে সাথে কিডনি ফেলিওরের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

    রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ রক্ত জমাট বাঁধার পথকেও ব্যাহত করে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধা কিংবা অতিরিক্ত রক্তপাতের সৃষ্টি করতে পারে। কিছুক্ষেত্রে স্বল্প মাত্রায় ‘নিউরোটক্সিন’ এর প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

    এছাড়া মানবদেহে রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তি সাপে কামড়ানোর জায়গায় তীব্র ব্যথা অনুভব করেন এবং সেই জায়গায় ফোলা দেখা যায়।

    চিকিৎসকের মতে, গোখরো সাপের দংশনের গড় ৮ ঘণ্টা পর, কেউটে সাপের দংশনের গড় ১৮ ঘণ্টা পর ও চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপের দংশনের গড় ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন পর রোগীর মৃত্যু হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সময়সীমার মধ্যে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা জরুরি। সাপের কামড় বা দংশনের পরে, দ্রুত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে, অ্যান্টিভেনমের অ্যান্টিবডিগুলি বিষকে নিষ্ক্রিয় করে । যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যায় ।

    সাপের দংশনের শিকার হলে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের পরামর্শ অনুযায়ী যা করণীয় তা হলো :

    শান্ত থাকুন এবং অতিদ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। শরীরের যে স্থানে সাপ কামড়েছে সেটি যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করুন। ঘড়ি বা অলঙ্কার পড়ে থাকলে তা খুলে ফেলুন। কাপড়ের বাঁধ ঢিলে করুন, তবে খুলবেন না।

    নিম্নবর্তী কোনও পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করবেন না :

    কামড়ের স্থান থেকে চুষে বিষ বের করে আনার চেষ্টা করা। কামড়ের স্থান আরও কেটে বা সেখান থেকে রক্তক্ষরণ করে বিষ বের করে আনার চেষ্টা করা। বরফ, তাপ বা কোনও ধরনের রাসায়নিক কামড়ের স্থানে প্রয়োগ করা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে একা ফেলে যাওয়া। কামড়ের স্থানের গিঁটের কাছে শক্ত করে বাঁধা। এর ফলে বিষ ছড়ানো বন্ধ হবে না এবং আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গুও হতে পারেন।

    সাপে কামড়ালে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকতে হবে। যে জায়গা কামড়েছে, সেই জায়গা খুব বেশি নড়াচড়া করানো যাবে না। সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময়ের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া গেলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। যেহেতু রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে রোগীর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই রোগীকে এমন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত যেখানে ডায়ালাইসিসের সুব্যবস্থা রয়েছে।

    বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি, কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন

    বিষধর সাপ ধরা থেকেও বিরত থাকা উচিত। এমনকি মৃত সাপও সাবধানতার সাথে ধরা উচিৎ, কারণ সদ্যমৃত সাপের স্নায়ু মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরও সতেজ থাকতে পারে এবং তখন তা দংশন করতে পারে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Russell's Viper কামড়? পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ভাইপার মতামত রাসেলস রাসেলস ভাইপার কামড় লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য
    Related Posts
    দলিল

    দলিল থাকা সত্ত্বেও পাঁচ ধরনের জমির দখল ছাড়তে হবে

    July 27, 2025
    অপটিক্যাল ইলিউশন

    ছবিটি জুম করে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা শিয়াল আর ঘোড়া খুঁজে বের করুন

    July 27, 2025
    Sontan

    ডিভোর্সের পর সন্তানের দায়িত্ব কাকে নিতে হবে?

    July 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    England

    নারী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ : টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে শিরোপা ইংল্যান্ডের

    Gaza Aid

    আকাশ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলছে জর্ডান ও আমিরাত

    salman-khan

    বাবার উপদেশ না শোনার অনুশোচনায় ভুগছেন সালমান

    razzak

    ‘জুলাই চেতনা বেঁচে চাঁদাবাজি করেছিস’ — আদালতে সেই ছাত্রনেতাদের মারধরের চেষ্টা

    rukmini-maitra

    ‘ধূমকেতু’ নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন রুক্মিণী

    Canon EOS R5 Mirrorless Camera: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    Canon EOS R5 Mirrorless Camera: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    iQOO Gaming Smartphones:Leading the Mobile Performance Innovation Wave

    iQOO Gaming Smartphones:Leading the Mobile Performance Innovation Wave

    Date Cultivation

    আরবের খুরমা খেজুর চাষে দুই ভাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্য

    Ruben Tuesta: Crafting Digital Magic and Visual Storytelling

    Ruben Tuesta: Crafting Digital Magic and Visual Storytelling

    Virginia Fonseca: The Digital Dynamo Reimagining Beauty and Lifestyle

    Virginia Fonseca: The Digital Dynamo Reimagining Beauty and Lifestyle

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.