সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় নতুন আতঙ্কের নাম কিলিংমেশিন খ্যাত ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার। কিছুদিন আগে এই সাপের বিচরণ চরাঞ্চলে থাকলেও এখন তা লোকালয়ে প্রবেশ করছে। যার ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আজ বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ে হাটার সময় স্থানীয় লোকজনের চোখে পড়ে দুটি সাপের। একটি জিও ব্যাগের ওপর দিয়ে এলাকায় প্রবেশ করছে। অপর সাপটি নদীর পানিতে ভাসছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আতঙ্কিত হয়ে উপরের সাপটিকে তৎক্ষণাৎ পিটিয়ে মেরে ফেলেন লোকজন। কিন্তু পানিতে থাকা সাপটি স্রোতের সাথে ভেসে চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর সাহা জানান, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে রাসেল ভাইপার সাপ দেখেছি। এবার বাস্তবে এ সাপের দেখা মিলল। দুপুরে নদীর পাড়ে হাটতে গিয়ে দেখি দুটি রাসেল’স ভাইপার সাপ। একটি নদী থেকে এলাকায় প্রবেশ করছে অপরটি নদীর পাড়ে ভেসে রয়েছে। সাপটিকে তৎক্ষণাৎ পিটিয়ে মেরে ফেলেন লোকজন। কিন্তু পানিতে থাকা সাপটি স্রোতের সাথে ভেসে চলে যায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে যে সব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারি হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত ও কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।
হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের উৎপাত বেড়েছে বলে শুনেছি। মাঝেমধ্যে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সাপ দেখা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী সাপে কাটা রোগীদের অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সীমিত। তবে জেলা মিটিংয়ে চাহিদার কথা উপস্থাপন করা হয়েছে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের চাহিদা অনুযায়ী অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন পাব।
তিনি আরও বলেন, যদি কাউকে সাপে কামড়ায় তাহলে দেরি না করে ১০০ মিনিটের মধ্যে সরাসরি হাসপাতালে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশনের কার্যকরী উপকার পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত তিন মাসে বিষধর এ সাপের কামড়ে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও সম্প্রতি বিষধর সাপের কামড়ে উপজেলার গালা ইউনিয়নের কালই (মনিঋষি পাড়া) গ্রামে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।