জুমবাংলা ডেস্ক : গেল কয়েক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে প্রাণহানি হয়েছে বেশ কয়েকজনের। বিশেষ করে এই সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করেছে কৃষকরা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কৃষকদের মাঝে যার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে। সাপ দেখলেই কেউ কৌতুহলী আবার কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। তবে আতঙ্কই বেশি বলতে হবে। কেননা, দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার বা এ সন্দেহে সাপ মারার প্রবণতা বেড়েছে। এ প্রবণতার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বাস্তুসংস্থানে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃতির ভারসাম্যে সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার পরামর্শ তাদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সাপের বিরুদ্ধে মানুষকে উত্যক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু এটা সবার ঘরে ঘরে চলে আসছে এবং তাদেরকে মেরে ফেলার একটা প্রবণতা হচ্ছে। ইদুররা যে ফসলগুলো নষ্ট করে ফেলে এই রাসেলস ভাইপারই কিন্তু তাদের খেয়ে ফেলে। তারা খেয়ে ফেলে বলেই তো আমরা এতগুলো ফসল পাচ্ছি।
রাসেলস ভাইপার নামটি অনেকের কাছে নতুন মনে হলে- মোটেও নতুন কোন সাপের প্রজাতি নয় এটি। বরেন্দ্র অঞ্চলের চন্দ্রবোড়া নামে এই রাসেলস ভাইপারের বিচরণ ছিল আগে থেকেই। সম্প্রতি চন্দ্রবোড়া বিচরণ ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়ে নতুন ২৭টি জেলায় দেখা মিলেছে।
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী দেশে বছরে অন্তত সাড়ে ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় সাপের ছোবলে। এসব মৃত্যুতে রাসেলস ভাইপার কতটুকু ভূমিকা রেখেছে তা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে গেল এগারো বছরে রাসেলস ভাইপারের দংশনে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৯ জনের মৃত্যুর তথ্য আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।