Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বাংলাদেশে যেভাবে ফিরে এলো রাসেল ভাইপার
    জাতীয়

    বাংলাদেশে যেভাবে ফিরে এলো রাসেল ভাইপার

    Shamim RezaJune 24, 20245 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : সারাদেশে ক্রমেই যেন রাজত্ব গেড়ে বসতে শুরু করেছে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। কিছুদিন আগে এই সাপের বিচরণ শুধু চরাঞ্চলে থাকলেও এখন লোকালয়েও দেখা মিলছে। ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাপ পিটিয়ে মারার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয়রা পোস্ট করছেন নিয়মিত। বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, দিনাজপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর; এমনকি ঢাকার আশপাশেও খোঁজ মিলছে সাপটির। অস্তিত্ব মিলেছে ২৫ জেলায়।

    Russell's Viper

    বাংলাদেশে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত। চলতি বছর এ সাপের কামড়ে মারা গেছেন ১০ জন। এই সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।

    দেখতে যেমন রাসেল ভাইপার

       

    রাসেল ভাইপার দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ছোট ও সরু লেজের সরীসৃপটি দৈর্ঘ্যে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিভুজাকার এবং ঘাড় থেকে আলাদা। শরীরজুড়ে অনেকটা চাঁদের মতো গাঢ় বাদামি গোল গোল দাগ। দৈহিক এই বৈশিষ্ট্যের কারণে শুকনো পাতা বা ধান ক্ষেতের মধ্যে খুব সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে নিজেকে।

    এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

    তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, সাপের এই প্রজাতিটি বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত ১০-১২ বছর আগে থেকে আবারো এই সাপের কামড়ের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

    এই প্রজাতির সাপ এই অঞ্চলে আবার কীভাবে ফিরে আসছে, তা নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা চলছে।

    যেভাবে ফিরে আসছে রাসেলস ভাইপার-

    বাংলাদেশে রাসেল ভাইপারের পুনরাবির্ভাব ও এই সাপ থেকে মানুষের ঝুঁকির বিষয়ে গবেষণা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহসান।

    ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ২০টি রাসেল ভাইপার দংশনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে করা গবেষণাটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় জার্নাল অব দি এশিয়াটিক সোসাইাটি, বাংলাদেশে। সেসময় ঐ গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৭টি জেলাতেই রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি রয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই এই সাপের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।

    ঐ গবেষণায় উঠে আসে, এই প্রজাতির সাপের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

    তবে বর্তমানে আরো বেশি এলাকায় এই প্রজাতির সাপের উপস্থিতি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্য মিলেছে, বর্তমানে ২৫ জেলায় এ সাপ ছড়িয়ে পড়েছে ।

    অধ্যাপক ফরিদ আহসান ধারণা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প সংখ্যক রাসেল ভাইপার সবসময়ই ছিল। কিন্তু বংশবিস্তারের মতো পরিবেশ ও পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকায় এই সাপের উপস্থিতি তেমন একটা বোঝা যায়নি।

    যেভাবে বাড়ছে রাসেল ভাইপার-

    অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই সাপের সংখ্যা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলানো।

    তিনি বলেন, আগে কৃষিজমিতে বছরে একবার বা দুইবার ফসল ফলানো হত এবং বাকি সময় পানির অভাব থাকায় জমি পরিত্যক্ত পড়ে থাকতো। ৯০’ এর দশকে সেচ পদ্ধতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল ফলানো শুরু করেন এবং জমি কম সময় পরিত্যক্ত থাকতে শুরু করে।

    তিনি বলেন, সারা বছর ক্ষেতে ফসল থাকায় জমিতে ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা এই সাপের প্রধান খাদ্য। আর ইঁদুর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাপ পর্যাপ্ত খাদ্য পেতে শুরু করে এবং বংশবিস্তারের জন্য যথাযথ পরিবেশ পেতে থাকে।

    বেশির ভাগ সাপ ডিম পাড়লেও রাসেল ভাইপার বাচ্চা দেয়। গর্ভধারণ শেষে স্ত্রী রাসেল ভাইপার সাধারণত ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ডও আছে।

    ঘন ঝোপ আর পরিত্যক্ত জমি অপেক্ষাকৃত কমে যাওয়ায় এই সাপ কৃষি জমিতেই থাকে, যার ফলে যারা মাঠে কৃষিকাজ করেন তারা রাসেল ভাইপারের দংশনের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়ে থাকেন।

    অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, বর্ষাকালে নদীর পানি বাড়ার ফলে ভারতের নদ-নদী থেকে ভেসেও এই সাপ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এখন পর্যন্ত পদ্মা অববাহিকায় এই সাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। আমরা দেখেছি যেসব জায়গায় এই সাপ পাওয়া গেছে তার অধিকাংশ জায়গাতেই কচুরিপানা রয়েছে, আবার কচুরিপানার মধ্যেও এই সাপ পাওয়া গেছে। কাজেই আমরা ধরে নিতে পারি কচুরিপানার ওপরে ভেসে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এই সাপ বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছেছে।

    কতটা মারাত্মক এই সাপের দংশন-

    বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপারের দংশনের হার খুব বেশি না হলেও ভারতে প্রতি বছর যে পরিমাণ সর্প দংশনের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে অন্তত ৪৩% এবং শ্রীলংকায় প্রতি বছর মোট সর্প দংশনের ঘটনার ৩০-৪০% রাসেলস ভাইপারের কারণে হয়ে থাকে।

    সাধারণত কৃষি জমিতে থাকে বলে মানুষ অনেক সময়ই সাপের গায়ে পা দেয় বা না জেনে একে বিরক্ত করে থাকে। আর রাসেল ভাইপার বিপন্ন বোধ করলে আচমকা আক্রমণ করে থাকে।

    আক্রমণের ক্ষেত্রে এটি এত ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে শেষ করতে পারে পুরো প্রক্রিয়া। ক্ষেপে গেলে শব্দ করে প্রচণ্ড জোরে। ঠিক যেন প্রেসার কুকারের মতো।

    এই প্রজাতির সাপের কামড়ের কিছুক্ষণ পরই দংশিত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যাখার পাশাপাশি দংশিত স্থান দ্রুত ফুলে যায় এবং ঘণ্টা খানেকের মধ্যে দংশিত স্থানের কাছে শরীরের আরো কয়েকটি অংশ আলাদাভাবে ফুলে যায়।

    দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে নিম্ন রক্তচাপ, কিডনি অকার্যকর হওয়া সহ বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ সাপের দংশনে দংশিত হয়, যার মধ্যে প্রতি বছর অন্তত এক লাখ মানুষ মারা যায়। আর সাপের দংশনে আহত হয়ে বছরে প্রায় ৪ লাখ মানুষের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

    পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া মাঠে কাজ করা এবং সাপে কাটার পর গ্রামীণ জনপদ এখনো ঝাড়ফুঁকের মতো কুসংস্কার থেকে মুক্ত না হওয়ার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যদিও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকারও অভিযোগ আছে।

    বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাঈদ বলেন, সাপ দংশন করলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। ওঝার বাড়িতে গিয়ে অনেকে সময় নষ্ট করেন। এতে বিষক্রিয়া পুরোপুরি প্রকাশ পেয়ে গেলে আইসিইউ সাপোর্ট ছাড়া রোগীকে বাঁচানো যাবে না।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, অ্যান্টিভেনম উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দেওয়া আছে। যেসব এলাকায় সাপের উপদ্রব বেশি, সেসব জায়গায় সংরক্ষিত আছে। এনসিডির (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ) সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

    সাহসিকতার সীমা ছাড়ালেন এই উঠতি অভিনেত্রী

    প্রতি বছর দেশে চার লাখেরও বেশি মানুষকে সাপে কাটে, যাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় Russell's Viper এলো ফিরে বাংলাদেশে ভাইপার যেভাবে রাসেল
    Related Posts
    তাওজেন

    সুরমাকে বিয়ে করা হলো না তাওজেনের, ফিরে যাচ্ছেন নিজ দেশে

    November 7, 2025
    নির্বাচন

    নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৬৬ সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন ইসির

    November 7, 2025
    ঐকমত্য কমিশনের ব্যয়

    ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় কত, জানা গেল

    November 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    তাওজেন

    সুরমাকে বিয়ে করা হলো না তাওজেনের, ফিরে যাচ্ছেন নিজ দেশে

    নির্বাচন

    নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৬৬ সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন ইসির

    ঐকমত্য কমিশনের ব্যয়

    ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় কত, জানা গেল

    ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

    পঞ্চগড় সীমান্তে নতুন সেনা ঘাঁটি চালু ভারতের

    নিষিদ্ধ পপি সিড

    চট্টগ্রাম বন্দরে আটক দুই কনটেইনার নিষিদ্ধ পপি সিড

    লর্ড কার্লাইলের সতর্কবার্তা

    জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাজ্যের লর্ড কার্লাইলের সতর্কবার্তা

    বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার আহ্বান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর

    পদচ্যুতি

    পাকা কলা ঘুস গ্রহণের অভিযোগে দুদকের নির্দেশে পদচ্যুতি

    তারেক রহমান

    মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.