আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভ্যান্সের বক্তব্য মূলত সংস্কৃতি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব এবং ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয়গুলোর উপরই কেন্দ্রীভূত ছিল। যার সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনের প্রচলিত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা আলোচনার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউরোপীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালিয়ে বলেছেন, মহাদেশটির সবচেয়ে বড় হুমকি রাশিয়া ও চীন থেকে নয়, বরং এই মহাদেশ নিজেই। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া ভাষণে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ কথা বলেন ভ্যান্স। খবর বিবিসি।
প্রত্যাশা করা হয়েছিল যে, ভ্যান্স মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তার ভাষণে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে কথা বলবেন। তবে তিনি বেশিরভাগ সময় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় সরকারগুলোকে তাদের মূল্যবোধ থেকে সরে আসা এবং অভিবাসন ও স্বাধীন মতপ্রকাশ নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উপেক্ষা করার ব্যাপারে দোষারোপ করেন।
তার বক্তব্যে সম্মেলনস্থলে নেমে আসে নীরবতা। পরে সম্মেলনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন রাজনীতিক এর নিন্দা জানান। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের পুরনো অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন ভ্যান্স যে, ইউরোপকে নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য বড় পরিসরে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের কথাও উল্লেখ করেন এবং বলেন, তিনি আশা করেন একটি যৌক্তিক সমাধান বের করা সম্ভব হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তা ত্বরান্বিত হবে বলেও মন্তব্য করেন ভ্যান্স।
তবে, ভ্যান্সের বক্তব্য মূলত সংস্কৃতি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব এবং ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয়গুলোর উপরই কেন্দ্রীভূত ছিল। যার সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনের প্রচলিত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা আলোচনার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বাধীন মতপ্রকাশ দমন করছে। ইউরোপকে তিনি ব্যাপক অভিবাসনের জন্য দায়ী করেন এবং এর নেতাদের ‘মৌলিক মূল্যবোধ’ থেকে সরে আসার জন্য অভিযুক্ত করেন।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কায়া কাল্লাসের মতে, ভ্যান্স ইউরোপের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করতে চান।
রাশিয়ায় প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল পলিটিকোকে বলেন, ভ্যান্সের বক্তব্য অপমানজনক এবং বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।