আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অ্যান্টার্কটিকায় বিপুল তেল ও গ্যাসের মজুত খুঁজে পেয়েছে রাশিয়া। তবে এর বেশির ভাগ অংশই যুক্তরাজ্যের দাবি করা অঞ্চলে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
মস্কোর কাছে হস্তান্তর করা রাশিয়ার একটি গবেষণা জাহাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্টার্কটিকায় সন্ধান পাওয়া তেলের মজুত প্রায় ৫১১ বিলিয়ন ব্যারেল। এই পরিসংখ্যান গত ৫০ বছরে উত্তর সাগর থেকে যে পরিমাণ তেল উত্তোলন করা হয়েছে, তার প্রায় ১০ গুণ।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গত সপ্তাহেই এই তথ্য যুক্তরাজ্যের কমন্স এনভায়রনমেন্ট অডিট কমিটির কাছে প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে।
তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া ওই গবেষণা জাহাজ পরিচালনা করে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অনুসন্ধান সংস্থা রসজিও। এবার তাই সংস্থাটিকে ‘বিনা অনুমতিতে’ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে খনিজের মজুত খোঁজার জন্য অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। অথচ কয়েক দিন আগেই যুক্তরাজ্যের কমন্স এনভায়রনমেন্ট অডিট কমিটিকে দেশটির জুনিয়র মন্ত্রী ডেভিড রুটলি বলেছিলেন, শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো হচ্ছে—রাশিয়ার এমন আশ্বাসকে তিনি বিশ্বাস করেন। রাশিয়া সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকা চুক্তির মূল উপাদানগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ দিয়ে রাশিয়াকে আর বিশ্বাস করা যায় না বলে সে সময়ই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি অ্যান্টার্কটিকা বিশেষজ্ঞ ক্লাউস ডডসও জানিয়েছিলেন, ওই অঞ্চলে বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে রুশরা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তেল ও গ্যাস খোঁজার দিকে মনোনিবেশ করেছে বলে তাঁর মনে হচ্ছে।
রাশিয়ান অনুসন্ধান সংস্থা রসজিও (Rosgeo) সাধারণ ভূকম্পন এবং এই সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে জরিপ পরিচালনা করে। এবার সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। তারা আশা করছে, নতুন উদ্বেগের বিষয়টি আগামী ২০ থেকে ৩০ মে ভারতের কেরালায় অনুষ্ঠেয় ৪৬তম অ্যান্টার্কটিকা-বিষয়ক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময় জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন অভিপ্রায়ের বিষয়ে রাশিয়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।