আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকের আশেপাশের এলাকা ও চেরনিহিভে রাশিয়া হামলা কমিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন। তুরস্কের ইস্তানবুলে মঙ্গলবার আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। আর এ আলোচনা শেষে তিনি এ কথা জানান।
মূলত ইউক্রেনের বিশ্বাস অর্জন করতেই কিয়েভের ওপর বা আশেপাশে হামলা কমিয়ে দেবে তারাুল এ ব্যাপারে রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিরতি করতে ও এ নিয়ে আলোচনা করতে এবং ইউক্রেনের বিশ্বাস অর্জন করতে রাশিয়া কিয়েভের আশেপাশে ও চেরনিহিভে প্রাথমিকভাবে হামলা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে এর আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার কিছু কিছু ইউনিট কিয়েভের আশপাশের এলাকা ও উত্তর দিকের শহর চেরনিহিভের দিক থেকে সরে যাচ্ছে।
ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল স্টাফ দাবি করেছেন, রুশ সেনারা কিয়েভের আশেপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। ফলে তারা কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। জেনারেল স্টাফ আরও দাবি করেছেন, রুশ কমান্ডাররা চেয়েছিল এসব স্থানে নতুনদের নিয়ে আসতে কিন্তু সৈন্যরা আসতে অপরাগতা জানিয়েছেন। ফলে বাধ্য হয়ে এখান থেকে নিজেদের সেনা ইউনিট সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের যে প্রস্তাবে নমনীয় হলো রাশিয়া
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।