আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে আটকে থাকা শস্য বের করে নিতে বুধবার তুরস্কের ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরা।
আর এ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যোগ দিয়েছে তুরস্কের সামরিক কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
এর মাধ্যমে গত মার্চ মাসের পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি আলোচনায় বসেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো দখল করে। ফলে ইউক্রেনে থাকা শস্যের চালানের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ইউক্রেন বিশ্বের গমের চাহিদার বড় একটি অংশের যোগান দিয়ে থাকে।
ইউক্রেনের শস্য আটকে যাওয়ার কারণে বিশ্বে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়।
জাতিসংঘকে সঙ্গে নিয়ে তুরস্ক শুরু থেকেই শস্যর বিষয়টি সমাধান করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তুরস্ক প্রস্তাব দিয়েছে তারা শস্যের জন্য নিরাপদ করিডোর তৈরি করবে। এ নিয়ে জাতিসংঘ, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছে তারা।
তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ তুরস্কে একটি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করে সেখান থেকে শস্য বের হওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বুধবার স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল পেসের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, শস্য নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি প্রায় সম্পন্ন।
তবে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে যেসব নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে সেগুলো সমাধান করতে হবে।
বার্তা সংস্থা এপিকে কুলেবা জানান, কার্গো ও শস্য বহনকারী জাহাজ, বন্দর এবং বন্দর ব্যবহার করে হামলা চালাবে না রাশিয়া- এমন নিশ্চয়তা না দিলে তারা শস্য রপ্তানি শুরু করবেন না।
কুলেবাকে জিজ্ঞেস করা হয় রাশিয়া কেন এখন শস্য বের হওয়ার বিয়ষটি নিয়ে রাজি হয়েছে?
এ প্রশ্নের জবাবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া এখন এশিয়া এবং আফ্রিকাকে দেখাতে চায় তারা তাদের খাদ্য সঙ্কট থেকে বাঁচাচ্ছে।
তবে তিনি সতকর্তা দিয়ে বলেন, রাশিয়া এখনো আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।