বিনোদন ডেস্ক : আজ থেকে ২ দশক আগের সময়টাও বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ছিল। তবে সেটা এখন আর অবশিষ্ট নেই। সে যুগের অভিনেতা গণ এবং অভিনেত্রীগণ। বেশিরভাগেরাই এখন তাদের অভিনয় জগত থেকে বের হয়ে এসেছেন। তবে তারা বর্তমানে কি করছেন। বা কোথায় আছেন। সে বিষয় নিয়ে কথাবার্তা সচরাচর হয় না।
মূলত রিসেন্টলি বাংলাদেশী অভিনেত্রীগনের মধ্যে একজন। রিনা খান তার ইন্টারভিউতে নিজের পুরনো সেই স্মৃতিগুলো। এবং তৎকালীন তার সঙ্গী শাবানা সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন। সে বিষয়টা নিয়েই আলোচনা করা হবে আজকের ভিডিওতে। তবে শুরুতে আমরা শাবানা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই। শাবানা নামে পরিচিত আফরোজা সুলতানা রত্না। একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
তিনি মোট দশটি বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার কিছু সিনেমা হলো ১৯৭৭ সালের জননী, ১৯৮০ সালের সখী তুমি কার। দুই পয়সার আলতা, নাজমা, ভাত দে , অপেক্ষা ইত্যাদি। এগুলো সহ আরো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার তিন দশকের ক্যারিয়ার জুড়ে।
তিনি ২৯৯ টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ১৩০টিতে তিনি আলমগীরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। শাবানা একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র প্রযোজক। ওয়াহিদ সাদিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে সে এখন বর্তমানে তার রেগুলার লাইফ কিরকম স্পেন্ড করছেন। সে সম্পর্কে তেমন কোন ইনফরমেশন আমাদের হাতে নেই।
সম্প্রতি শাবানা সম্পর্কে কিছু কথা বললেন বাংলাদেশী অভিনেত্রীর রিনা খান। তিনি তার অতীতের স্মৃতিগুলোকে তুলে ধরেছেন তার কথাবার্তায়। সময়টা নাকি তাদের খুব সুন্দর ছিল। তিনিও মূলত বাংলাদেশি বেশিরভাগ সিনেমা গুলোতে অভিনয় করেছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী এমন অনেকের সাথেই তিনি অভিনয় করেছেন। যারা আজ দুনিয়াতে নেই। আর যারা নাকি দুনিয়াতে আছেন। তারা রয়েছেন অনেক দূরে। সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে। মূলত তাদের মধ্যে এখানে তিনি শাবানার কথা বেশি বললেন।
তার সময় কাটানোর মতো নাকি বাসায় কয়েকটা জিনিস আছে। গাছে পানি দিতে দিতে তার সেই পুরনো কথাগুলো মনে পড়ে যায়। শাবানা ববিতা তাদের সাথে কত সুন্দর কাজ করতো সে। তাছাড়াও তিনি সাদেক বাচ্চুর কথাও বলেন। আজকে যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়তো বা। তাকে এখনই বোন বলে কাছে টেনে নিত।
তাকে ইন্টারভিউতে জিজ্ঞেস করা হয়। তৎকালীন সময়কার একটা ঘটনা বলবেন। তিনি তার একটা শুটের কথা জানান। যেখানে তাদের সাতটা বাজে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু সে একটু লেট করে যাওয়ার পর দেখে। শাবানা নাকি ইতোমধ্যে মেকআপ টেকআপ রেডি করে তার জন্য অপেক্ষা করছে।
এখন বিষয়টা হলো সেদিন নাকি সে এক্সকিউজও দিতে পারেনি। যে হয়তো বা জ্যামে আটকে গিয়েছে সেজন্য। কারণ তৎকালীন সময় জ্যাম ছিল না তেমন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় শাবানা আপার সাথে কি আপনার এখনো কথা হয়। তিনি জানান যে না তেমন কথা বার্তা হয় না। তিনি নিজেসহ সবাই নাকি যার যার ঘর সংসারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের সেই সময় গুলো যেন এখন শুধুমাত্র স্মৃতি হয়েই থেকেছে। তাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। যে। সিনেমাতে আপনাকে যেরকম কথায় কথায় রাগ হতে দেখতাম।
আপনি কি বাস্তবেও এরকম রাগ করেন নাকি। সে উত্তর দেয় যে না। সিনেমা তো সিনেমা। সেখানে আমার চরিত্র আর এর বাস্তবে চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে হ্যাঁ রাগ হইনা যে এরকমও বলা যাবে না। তারপরের সময়টাতে তিনি তার অভিনীত কয়েকটা সিনেমার নাম বলেন। অনেক সিনেমা আছে তার মনেও নেই। তবে বোঝাই যাচ্ছে বেশিরভাগ সিনেমাগুলোতেই তার পদাচরণ ছিল। আসলে আমরা যা দেখি সিনেমাতে। তাদের চরিত্র বাস্তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিষয়টা আমরা রিনা খানের কথাবার্তা শুনে বুঝতে পারছি। আসলে তাদের সেই পুরনো মধুর স্মৃতিগুলো শুধুমাত্র স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে। বদলে গিয়েছে সবই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।