জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্প্রতি দেশ ত্যাগ করেছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকার দেশ অপসারণ করতে দেয়ায় চরম ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছে। তিনি এ বিষয়টিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আলোকে এটি দেশের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের বাইরে: সরকারের ব্যর্থতা
সারজিস আলম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “৯ মাস পর একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি কীভাবে দেশ ছেড়ে যান? তাকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে।” এ সময় তিনি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বারোআউলিয়া মাজারের বার্ষিক ওরশ পরিদর্শনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আবদুল হামিদ এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে, যা সারজিসের মতে দেশের জনগণের কাছে প্রশ্ন তুলছে।
এখন বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে ভাবছেন, সরকারের এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কতটুকু সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। সারজিসের মতে, “হাজারের বেশি শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তারা এখনো একটি হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করেনি। মৌলিক সংস্কার না করে নির্বাচন নিয়ে ভাবা মানেই শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা।”
রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব: মামলা ও চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ
সারজিস আলম এ সময় দেশে মিথ্যা মামলা ও মামলাভিত্তিক চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বলেন, “মিথ্যা মামলা এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। মামলা দায়েরের আগেই একটি চক্র তৈরি হয় যারা টাকা দাবি করে। মামলা কেটে দেওয়ার শর্তেও অর্থ আদায় করা হয়।”
এসব অভিযোগ উঠে আসার কারণে দেশের ব্যবসায়ীরা বর্তমানে কষ্টে আছেন। সারজিস বলেন, “ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সময়ের তুলনায় এখন কিছু নতুন নেতারা ব্যবসায়ীদের বেশি হয়রানি করছে।”
সারজিস, আইন উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই অনিয়ম ও অপরাধের বিরুদ্ধে যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে শহীদ পরিবার, ছাত্র-জনতা আপনাদের অবস্থানের বিরোধিতা করতে দ্বিধা করবে না।”
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন কি হবে, সেটা সকলের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে, আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে সরকারের কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটাও সময় বলবে।
এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপদের সংকেত।
FAQs
১. সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কেন দেশত্যাগ করেছেন?
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক চাপের কারণে দেশের বাইরে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে, যা সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
২. সারজিস আলম কেন সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন?
সারজিস আলম সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা সাবেক রাষ্ট্রপতিকে পালিয়ে যেতে দিয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।
৩. বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমান কী?
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির কারণে উদ্বেগজনক। দেশের ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে রয়েছেন।
৪. সারজিস আলমের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট কী?
তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনা এবং রাজনৈতিক অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন, যা দেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
৫. কি পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারের?
সরকার এবং আইন উপদেষ্টা অলি-গলির অনিয়ম ও অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
৬. সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে?
এটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি বিপদের সংকেত হতে পারে এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।