জুমবাংলা ডেস্ক : দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বৈশাখের খরতাপে দিশেহারা দেশবাসী। এরই মধ্যে পাবনায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
রাজধানী ঢাকাও পিছিয়ে নেই। গত ৫৮ বছরের মধ্যে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কাটিয়েছে রাজধানীবাসী। বৃষ্টির অধীর অপেক্ষার মাঝে সোমবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সুখবর।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও আগামী দুদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। ২৪ ঘণ্টার সিনপটিকে জানানো হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত ৬টা ২১ মিনিটে।
এদিকে টানা এক সপ্তাহের তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন। বিশেষ করে সূর্যের প্রখর তাপে দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজে বের হতে পারছেন না। ফলে অনেককে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। আবার জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন অনেকেই।
আবহাওয়াবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়বে। ফলে গরমের কষ্ট বাড়তে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার এবং পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কৃষির ওপর। কৃষকরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে ঠিকমত আবাদ করতে পারছেন না। বুনন করতে পারছেন না পাটসহ অন্যান্য ফসল। ঠিকমতো ফসলের জমিতে সেচ কাজ পরিচালনাও করতে পারছেন না তারা। এ নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।